চার বছর ধরে ভারতের হোমে আটক বাংলাদেশি তরুণী
প্রকাশিত : ১৪:৩০, ২৩ আগস্ট ২০২১
প্রতীকী ছবি।
চার বছর ধরে ভারতের হাওড়ার লিলুয়া হোম। সেখানে ‘বন্দিদশা’ কাটিয়ে এখনও বাংলাদেশে মা-বাবার কাছে ফিরতে পারেননি এক তরুণী। অথচ নারী পাচারের যে মামলায় ওই তরুণী দেশে ফিরতে পারছেন না, সেই মামলায় ইতিমধ্যেই চার্জশিট দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। বাংলাদেশে থাকা পরিজনেরাও তাদের মেয়েকে বার বার ফিরিয়ে আনতে গিয়েও পারেনি।
কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের অভাবে মুক্তি পাচ্ছে না ওই তরুণী। শুধু ওই তরুণীই নন, একই কারণে বাংলাদেশের বাড়িতে ফিরতে পারছেন না বহু কিশোরী ও তরুণী। এ খবর দিয়েছে ভারতের একটি প্রভাবশালী দৈনিক।
পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলা সমাজকল্যাণ দফতর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা ওই তরুণীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৭ সালে বনগাঁয় আনে এক দালাল। এরপরে তাকে বিক্রি করে দেওয়া হয় বেঙ্গালুরের এক যৌনপল্লিতে। সেখান থেকে ছ’মাস পরে পালিয়ে আসে সে। ঠিক করে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরে আসবে। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি।
জানা গেছে, অচেনা জায়গায় ট্রেন থেকে নামতেই ফের দালালদের খপ্পরে পড়েন ওই তরুণী। তারা তাকে বাড়ি ফেরানোর জন্য সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু তার বদলে ওই তরুণীকে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বেঙ্গালুর থেকে তার আয় করা টাকা ও গয়না চুরি করে পালায় তারা। পরে ওই দালালেরাই বনগাঁ পুলিশের হাতে তুলে দেয় তরুণীকে। আদালতের নির্দেশে তার স্থান হয় লিলুয়া হোমে।
পাচার হওয়া নারী ও শিশুদের ফিরিয়ে আনার কাজ করে আসছে যশোরের মানবাধিকার সংস্থা রাইটস যশোর। ওই সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক জানান, হাওড়ার লিলুয়া হোমে বাংলাদেশি অনেক নারী ও তরুণী দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছে। আমরা দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি জানিয়েছি। আটকে থাকা নারী ও তরুণীর নাম ঠিকানা পরীক্ষা করা হচ্ছে। খুব দ্রুত বিষয়টি সমাধান করে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান তিনি।
এএইচ/
আরও পড়ুন