রূপগঞ্জের আগুনে নিখোঁজ আরও তিন শ্রমিক, হাড় ও মাথার চুল উদ্ধার
প্রকাশিত : ০৮:২৯, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ০৮:৩২, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে আরও তিন শ্রমিক নিখোঁজের আবেদন পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। ওই কারখানার লাবুনি, সাজ্জাত ও মহিউদ্দিন নামের তিন শ্রমিকের এখনও কোন নিখোঁজ পায়নি তাদের পরিবার।
এই আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পুড়ে যাওয়া কারখানার চতুর্থ তলায় তল্লাশি অভিযান চালায় সিআইডি। এ সময়ে উক্ত ফ্লোর থেকে হাড় ও মাথার চুল উদ্ধার করেছে তারা।
সিআইডি নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার হারুন-উর-রশীদ জানান, কারখানার ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া ৪৫টি মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনটি মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। সেগুলো শনাক্ত করার জন্য তাদের পরিবারের স্বজনদের ডিএনএ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে লাবুনি, সাজ্জাত ও মহিউদ্দিন নামে তিন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে বলে তাদের পরিবারের সদস্যরা আবেদন করেছে। সেই আবেদনের প্রক্ষিতে আজ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সগযোগিতায় তল্লাশী অভিযান চালানো হয়েছে।
ভবনের চতুর্থ তলার তিন জায়গা থেকে নতুন করে দেহের অংশ বিশেষ ও মাথার চুল পাওয়া গেছে। সেগুলো ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
সিআইডির পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন জানান, নতুন করে তিনটি পরিবার তাদের স্বজনের মরদেহ পায়নি এমন আবেদন করেছে। তারা হাশেম ফুডের চতুর্থ তলায় কর্মরত ছিলেন। আগুনের ঘটনায় যাদের মরদেহ পাওয়া গিয়ে ছিলো তাদের মধ্যে এই তিনজনের মরদেহ শনাক্ত হয়নি। তাই তিন পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় মঙ্গলবার বিকেলে থেকে তল্লাশী অভিযান চালোনো হয়।
গত ৮ জুলাই হাশেম ফুডস কারখানায় আগুন লেগে অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
ওই ঘটনায় কারখানার মালিক আবুল হাশেম, তার চার ছেলেসহ আটজনকে হত্যা মামলায় আটক করে পুলিশ। তাদেরকে চারদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে আদালতে থেকে তারা জামিন যান।
এএইচ/
আরও পড়ুন