ঢাকা, শনিবার   ১৬ নভেম্বর ২০২৪

বেনাপোলে সন্ধ্যার পর পচনশীল পণ্যের শুল্কায়ন বন্ধ

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:৫৪, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৮:০৩, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

রাজস্ব ফাঁকি রোধে সন্ধ্যার পর আমদানিকৃত পচনশীল পণ্যের শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বেনাপোল শুল্ক কর্তৃপক্ষ। পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে কিছু ব্যবসায়ীর অনিয়মের কারণে বাধ্য হয়ে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই সিদ্ধান্তের কারণে অধিকাংশ পণ্য নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

বেনাপোল কাস্টম হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার ড. মো: নেয়ামুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যার পর কাঁচামাল জাতীয় পণ্য ছাড়করণের ক্ষেত্রে কিছু ব্যবসায়ী শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করে থাকে। ফলে নিরাপত্তার স্বার্থে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে আপাতত শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

একশ্রেণি দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীর শুল্ক ফাঁকির কারসাজিতে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি তাদের কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীরা পড়ছেন বিপাকে।

কিছুদিন আগেও বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফল জাতীয় কাঁচামাল আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। তবে এখন ভারত থেকে প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের ফল ও খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পঁচনশীল পণ্য আমদানি হচ্ছে। এসব আমদানি পণ্য থেকে প্রতিদিন সরকারের ২ থেকে ৩ কোটি টাকা রাজস্ব আসে।

বেনাপোল বন্দরের ৩১ নম্বর ট্রানশিপমেন্ট ইয়ার্ডের পরিদর্শক (ট্রাফিক) পলাশ জানান, বেনাপোল বন্দরে গত তিনদিনে ভারত থেকে ৪৫ ট্রাক খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পঁচনশীল পণ্য আমদানি হয়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে মাছ, টমেটো, কাঁচামরিচ, আঙুর, ক্যাপসিক্যামসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য। তবে কাস্টমসের বিধি-নিষেধের কারণে সন্ধ্যার পর ব্যবসায়ীরা অনেক পণ্য খালাস নিতে পারেননি। তবে এ সিদ্ধান্তে রাজস্ব ফাঁকি রোধ হয়েছে।

আমদানিকারকদের প্রতিনিধি রয়েল হোসেন বলেন, ভারত থেকে মূলত পঁচনশীল পণ্য বিকেলের দিকে আসে। আগে তারা গভীর রাত পর্যন্ত পণ্য খালাস নিতে পারতেন। তবে বর্তমানে সন্ধ্যার পর পঁচনশীল জাতীয় কোনো কাঁচামাল খালাস নিতে পারছেন না। এতে তারা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। 

কাঁচামাল গরমে পচে নষ্ট হচ্ছে। সৎ ব্যবসায়ীদের বৈধ সুবিধা বাস্তবায়নে শুল্ক কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান এই ব্যবসায়ী।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি