চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ
প্রকাশিত : ১৭:২৩, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় আনন্দধাম নার্সিংহোমে চিকিৎসকের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নার্সিং হোমের মালিক। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সিজারের তিনদিন পর মারা যায় ওই নবজাতক।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে ভোদুয়া গ্রামের শাহাজান শাহার মেয়ে সুমি খাতুনকে (২০) ওই নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। ওই দিনই সন্ধ্যা ৬টায় সিজারের মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তার সিজার করেন ওই নার্সিং হোমের স্বত্বাধিকারী শরিফুল ইসলামের ছেলে শাওন এবং তার সহকারী এনামুল হক।
পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, সিজারিয়ানের পর শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও তার চিকিৎসায় কোন উদ্যোগ নেয়নি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। পরে ৭ সেপ্টেম্বর বিকালে নিজ উদ্যোগে জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. হাবিবুর রহমানের কাছে শিশুটিকে নিয়ে যান তারা। তিনি শিশুটিকে দেখে একটি ব্যবস্থাপত্র লিখে দেন। কিন্তু চিকিৎসক শাওন ওই ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ঔষুধ না দিয়ে তা পাল্টে দেন। এরপরই নবজাতকটি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে।
তারা আরও অভিযোগ করেন, পরিবারের লোকজন চিকিৎসক শাওনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করা হয়। এছাড়া নবজাতকের মরদেহ আটকে রেখে সব বিল আদায় করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এ বিষয়ে আনন্দধাম নার্সিংহোমের মালিক শরিফুল ইসলাম বলেন, সিজারিয়ানের পর থেকে নবজাতকটি অসুস্থ ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে নবজাতকটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অথবা যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু নবজাতকটির অভিভাবকরা সে কথা শোনেননি। পরবর্তীতে নবজাতকটি মারা যায়।
এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর জানান, নবজাতক মৃত্যুর ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেআই//
আরও পড়ুন