হিলিতে ক্লাসে ফিরে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস
প্রকাশিত : ১৭:৪০, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১
দীর্ঘ ৫৪৪ দিন বন্ধের পর সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরের হিলিতে খুলেছে সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন পর স্কুলে যেতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা। এদিকে করোনার কারণে অভিভাবকদের মনে কিছুটা শঙ্কা থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল চালু রাখার দাবি।
রোববার সকাল থেকেই ছাত্র-ছাত্রীরা পরিপাটি হয়ে স্ব-স্ব স্কুলের নির্ধারিত স্কুল ড্রেস পরে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছেন। দীর্ঘদিন পর ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিতে তাদের কলরবে মুখরিত হয়ে পড়েছে স্কুল প্রাঙ্গণ। বিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও তাপমাত্রা পরিমাপ করা হচ্ছে, যাদের মাস্ক নেই তাদেরকে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মাস্ক দিয়ে সকলের মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। ৩ ফিট করে দূরত্ব রেখে বসতে দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে করোনা সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যানার লাগানো হয়েছে। উপজেলায় ৪৬টি প্রাথমিক ও ৩৬টি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে খোলা হয়েছে।
বাংলাহিলি পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সানজিদা আকতার বলেন, এতোদিন পর স্কুল খুলছে যার কারণে আমাদের বেশ ভালো লাগছে। এতোদিন স্কুল বন্ধ থাকার কারণে বাসায় বসে বোরিং ফিল করতাম পড়ালেখা ঠিক মতো হতো না, বাড়ির বাহিরে বের হতে পারতামনা মানসিক চাপের মধ্যে পড়েছিলাম। এখন স্কুল খোলায় অনেকদিন পর স্কুলে আসতে পারছি বন্ধু-বান্ধবদের সাথে দেখা হচ্ছে কথা হচ্ছে ক্লাস করছি সব মিলিয়ে খুব ভালো লাগছে।
অভিভাবক সাইদুল ইসলাম ও নাসিমা বানু বলেন, দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল বাসায় বসে সকলেই বোর হচ্ছিল পড়ালেখা একদমই করতে চাচ্ছিল না। দীর্ঘদিন বন্ধের পর বিদ্যালয় খুলেছে ছেলে-মেয়েরা তাদের বিদ্যালয়ে আসতে পারলো আবারও নতুন করে পড়াশোনা করতে পারছে এতে আমরা খুশি তেমনি ওরাও খুব খুশি স্কুলে আসতে পারে। তারা সকলেই মাস্ক পড়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে, তবে করোনার কারণে তাদের যে পড়ালেখার ক্ষতি হয়েছিল শিক্ষকরা যদি বাড়তি কেয়ার নেয় তাহলে অন্তত তাদের পড়ালেখার ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে।
বাংলাহিলি-১ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান বলেন, দীর্ঘদিন পর স্কুল খুলবে এ কারণে আমরা আগে থেকেই বিদ্যালয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাসহ বিদ্যালয়ে পাঠদানের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। দীর্ঘ দেড় বছর পর আজ বিদ্যালয় খুলেছে, এতে করে শিক্ষকদের মাঝে যেমন আনন্দ-উল্লাস বিরাজ করছে তেমনি শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুলে আসার জন্য একই ধরণের আনন্দ বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ি বিদ্যালয়ে পাঠদান করা হচ্ছে। করোনার কারণে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার যে ক্ষতি হয়েছে সেই ঘাটতি পূরণে আমরা চেষ্টা করে যাবো।
কেআই//
আরও পড়ুন