ঢাকা, শনিবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

শরীয়তপুরে শিক্ষক হত্যা মামলায় চার জনের মৃত্যুদণ্ড

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:১০, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

Ekushey Television Ltd.

শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি সরফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছামাদ আজাদ হত্যা মামলায় চার জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন। 

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, নুরুজ্জামান খান, জাহাঙ্গীর মাতবর, জুলহাস মাতবর ও চান মিয়া। পাশাপাশি তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। 

যাবজ্জীবন করাদন্ড প্রাপ্তরা হলেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মোল্লা, আজিজুল মাতবর, ফারুক খান, আজাহার মাতবর, মীজান মীর, আকতার গাজী, জলিল মাতবর, এমদাদ মাতবর ও লাল মিয়া। তাদেরও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ডের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

অপরদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি আজিবর বালী, আব্দুল খন্দকার, খোকন বেপারী, আজাহার মোল্লা ও ছোরাব মোল্লাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি সরফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন আব্দুস ছামাদ আজাদ। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৎকালীন চেয়ারম্যান হালিম মোল্লার কাছে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন। পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর জন্য তিনি এলাকায় পোস্টারিং করে আসছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হালিম মোল্লা হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ওই অবস্থায় ২০১০ সালের ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যে ৭টার দিকে শিক্ষক ছামাদ আজাদ শরীয়তপুর জেলার পালং থানার সন্তোষপুর বাস স্ট্যান্ডের লক্ষ্মীর মোডের বাবুল মুন্সির ক্রোকারিজের দোকান থেকে বের হয়ে রাস্তার ওপর আসার পরই তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এসে রহিম পেদা, ওয়াজেদ শীল, সেলিম ফকির, ইসাহাক মুন্সী ও বিশ্বজিৎ শীল গুলিবিদ্ধ হন। 

ওই ঘটনায় নিহত প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী বাদি হয়ে তৎকালীন চেয়ারম্যান হালিম মোল্লা ও সাবেক চেয়ারম্যান আজিবর বালীসহ ৩০ জনকে আসামি করে শরীয়তপুরের পালং থানায় একটি মামলা করেন। 

একই বছর ১৪ আগস্ট পালং থানার উপ-পরিদর্শক শহীদুল ইসলাম ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এতে নারাজি দেন মামলার বাদি। এর পর ২০১১ সালের ১১ মে একই থানার এসআই সুলতান মাহমুদ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। 

২০১৪ সালে মামলাটি বিচারের জন্য শরীয়তপুরের সিনিয়র দায়রা জজ আদালতে আসে। সেখানে ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। পরে ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর প্রজ্ঞাপন জারি হয়। ওই বছর ২১ জুন মামলার নথি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসে। এর পর একই বছর ৯ সেপ্টেম্বর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
সূত্র : বাসস
এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি