আত্রাইয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পে শিশুদের বিনোদনে শিশুপার্ক
প্রকাশিত : ১৬:২২, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
আত্রাইয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পে বিনোদনের জন্য শিশুপার্ক
নওগাঁর আত্রাইয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পে শিশুস্বাস্থ্য নিশ্চিত ও তাদের বিনোদনের জন্য শিশুপার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। সেই সাথে নির্মল অক্সিজেন আহরণের জন্য আশ্রয়ণ কেন্দ্রের চারিধারে ফলজ ও বনজ বৃক্ষ রোপণ করে সবুজ বেষ্টনি তৈরি করা হয়েছে।
জানা যায়, মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে আত্রাই উপজেলায় দুই ধাপে ১৮৫টি বাড়ী নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মিতব্য বাড়িগুলো প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর সুফলভোগীদের মাঝে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। বাড়ি পেয়ে সেখানে মনের আনন্দে বসবাস করছেন উপজেলার ভূমি ও গৃহহীন পরিবারগুলো।
বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকতেখারুল ইসলামের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে রসুলপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে শিশুদের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে শিশুপার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। একইসাথে রাস্তার দুইধার ও আশ্রয়ণ কেন্দ্রের চারিধারে পাঁচশ’ ফলজ ও বনজ বৃক্ষ রোপণ করা হয়।
অপরদিকে মধুগুড়নই আশ্রয়ণ কেন্দ্রে নদীরধারে গাইড ওয়াল তৈরি করে তাতে মাটি ভরাট দিয়ে সেখানেও শিশুদের বিনোদন দিতে দোলনা এবং নদীর নির্মল বাতাস আহরণের জন্য স্থায়ী বসার জায়গা নির্মাণ করা হয়েছে। এই কেন্দ্রেরও চারিধারে পাঁচশ’ ফলজ ও বনজ বৃক্ষ লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে সবুজ বেষ্টনি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আত্রাই-নওগাঁ আঞ্চলিক সড়কের রসুলপুর নামক স্থানে ১নং খাঁস খতিয়ানভুক্ত দুই দশমিক নব্বই একর উঁচু জমিতে দুই ধাপে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৭৩টি বাড়ি রয়েছে। তাতে আনুমানিক তিনশ’ মানুষ মনের আনন্দে স্বাচ্ছন্দে বসবাস করছেন। কেন্দ্রের পাশে মাদ্রাসা, মসজিদ, কমিউনিটি ক্লিনিক, খোলা মাঠ রয়েছে। আশ্রয়ণ কেন্দ্রের রাস্তায় ও চারিধারে ফলজ ও বনজ বৃক্ষ রোপণ করা রয়েছে। এছাড়া শিশুপার্কে শিশুদের বসার জায়গা, দোলনা, স্লিপার, গোল চত্তর এবং ফুলের বাগান রয়েছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পে রোপণ করা রয়েছে ফলজ ও বনজ বৃক্ষ
একইভাবে আত্রাই গোড়নই নদীর বুকচিরে গড়ে ওঠা মধু গুড়নই গ্রাম সংলগ্ন ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত তিন দশমিক বিশ একর উঁচু জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৮৪টি বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানেও শিশুদের দোল খাবার দোলনা, ফলজ ও বনজ বৃক্ষ রোপণ করা রয়েছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত নাছির মণ্ডল(৫৬), মোঃ আকবর আলী, শাহাদত প্রামানিক, সুফিয়া বেগম, আকলিমা খাতুনসহ অনেকের সাথে কথা হলে তারা জানান, আমরা সত্যিই ভাগ্যবান। বসত বাড়ির পাশেই শিশুপার্ক আমাদের শিশুদের জন্য অনেক বেশি খুশীর বিষয়। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবেনা প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা অনুযায়ী উপজেলার পাঁচস্থানে ১৮৫টি বাড়ি নির্মাণ করে সুফলভোগী মানুষের নিকট বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। শিশুদের স্বাস্থ্য নিশ্চিত ও নির্মল বাতাস আহরণের জন্য রসুলপুর ও মধুগুরনই আশ্রয়ণ কেন্দ্রে শিশুপার্ক এবং এক হাজার ফলজ ও বনজ বৃক্ষ রোপণ করে প্রকল্প সম্পর্কিত বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।
আশ্রয়ণ কেন্দ্রের সকল মানুষকে সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে গৃহ ও ভূমিহীন সকল মানুষকে এই সুবিধার আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এএইচ/
আরও পড়ুন