ধরা পড়ছে ইলিশ, মুখরিত উপকূলের মাছঘাটগুলো
প্রকাশিত : ১৪:৫৫, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
ভরা মৌসুমে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূলের বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলী নদী ইলিশ শূন্য ছিল। তবে মৌসুমের শেষে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। ফলে উপজেলার ঘাট এলাকায় ফিরে এসেছে উৎসবের আমেজ। পাইকার, আড়তদার ও জেলেদের হাঁকডাকে এখন মুখরিত আনোয়ারা উপকূলের মাছঘাটগুলো।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উঠান মাঝির ঘাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাল্টে গেছে মাছঘাটগুলোর চিত্র। সাগরে ছুটছেন জেলেরা, পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়ায় হাসি ফুটেছে জেলে পরিবারে।
উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উত্তর পরুয়াপাড়া ঈদগাহ ঘাট এলাকায় কথা হয় রাশু মাঝির সঙ্গে। তিনি বলেন, ইলিশ মৌসুমের শুরুতে সাগরে মাছ পাইনি। ৮-১০ জন মিলে গভীর সাগরে গিয়ে খাওয়ার মাছটুকুও পেতাম না। তখন খুব খারাপ অবস্থা ছিল। এখন বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলী নদীতে মোটামুটি মাছ পাওয়া যাচ্ছে। দামও ভালো। এভাবে মাছ পাওয়া গেলে আগের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারব।
ছাত্তার মাঝি ঘাটে কথা হয় জেলে আলী আকবর মাঝির সঙ্গে। তিনি বলেন, মৌসুমের শুরুতে ইলিশের দেখা না পেলেও ৪-৫ দিন ধরে বেশ ইলিশ ধরা পড়ছে। প্রতিদিন ৮-১০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করতে পারছি।
গহিরা উঠান মাঝির ঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ নাছির জানান, প্রথম দিকে সাগরে মাছ ছিল না। জেলে ও আমাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ছিল। খুবই দুঃসহ সময় কেটেছে। সাগরে মাছ পাওয়ায় ধার-দেনা পরিশোধ করতে পেরে জেলেরা খুশি। আমরাও সময়মতো মোকামে মাছ দিতে পারছি, ব্যবসা ভালো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার মা ইলিশ রক্ষায় যে সময় অভিযান দেয় তা থেকে আরও ১০ দিন পিছিয়ে দিলে প্রান্তিক জেলে ও আড়তদাররা পেছনের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে।
আনোয়ারা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রাশিদুল হক বলেন, মৌসুমের শুরুর দিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, সাগরে লবণাক্ত পানির প্রভাব এবং পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ইলিশের দেখা মেলেনি। তবে এখন আবহাওয়া ভালো থাকায় জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে।
এএইচ/
আরও পড়ুন