ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪

বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল কিশোরী, দায়িত্ব নিল ওসি

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৭:১৮, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৭:২০, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিয়ের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন, অপেক্ষা শুধু বরের। বর এলেই আনুষ্ঠানিকতা শেষে নবম শ্রেণির ছাত্রী ও ১৪ বছরের কিশোরীকে পাঠানো হবে শ্বশুরবাড়িতে। কিন্তু সেই মুহূর্তে বিয়ে বাড়িতে হাজির হলো পুলিশ। এমন সংবাদ পেয়ে বর আর আসেননি। বিয়েও হয়নি।

অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেলো নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী। শ্বশুরবাড়ির পরিবর্তে সেই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। একই সঙ্গে বাবার আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে মেয়েটির দায়িত্ব গ্রহণ করেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)। পরে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত সবাইকে মিষ্টিমুখ করানো হয়। আজ শনিবার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাম্মৎ মেহেজাবিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য জিন্নাহ, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট মানি খন্দকার, চুয়াডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ ইমরান।

চুয়াডাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট মানি খন্দকারের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হচ্ছে। এরপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ আমরা বিয়ে বাড়িতে হাজির হই। আমরা মেয়ের অভিভাবককে বুঝিয়ে বলার পর তিনি আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে মেয়ের পড়াশোনা চালানোর অক্ষমতা প্রকাশ করেন।

তিনি আরও জানান, আমরা মেয়ের পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্বভার গ্রহণ করি। তাৎক্ষণিকভাবেই মেয়ের দুই বছরের স্কুল ফিস, পরীক্ষার ফিসসহ বিদ্যালয়ের সব খরচ পরিশোধ করে দিই। এছাড়া তার প্রয়েজনীয় যাবতীয় শিক্ষা উপকরণেরও ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। মেয়েটিকে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দায়িত্ব শেষ করতে চেয়েছিল পরিবার। আমরা স্কুলে পাঠিয়ে তার তার নতুন জীবন শুরু করলাম।
কেআই// 


 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি