মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, দুই লাখ টাকায় দফারফার অভিযোগ
প্রকাশিত : ১৯:০৯, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
ইনসেটে অভিযুক্ত মনিরুল
যশোরের শার্শার পল্লীতে এক হেফজ মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হরিনাপোতা গ্রামে। পরে গ্রাম্য শালিশী বৈঠকে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া হয়েছে।
এমনকি ঘটনাটি নাভারন সার্কেল এএসপিকে অবগত করলেও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এলাকাবাসীর ক্ষোভ ঝেড়ে বলছে, মাদ্রাসা ছাত্রীর ইজ্জতের মূল্য দুই লাখ টাকা!
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শার্শা উপজেলার হরিনাপোতা গ্রামে মকবুল ইসলামের বাড়িতে একটি অবৈধ আবাসিক মহিলা হেফজ মাদ্রাসা রয়েছে। সেখানে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরীব ছাত্রীরা এসে পড়াশুনা করে। কিন্তু মাদ্রাসা লাগোয়া বাড়িতেই মকবুল ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলাম বসবাস করেন এবং এর পাশেই রয়েছে তার একটি গ্রাম্য ডাক্তারখানা। যে কারণে মনিরুলের সঙ্গে ছাত্রীদের দেখা-সাক্ষাৎ হয় সহসাই।
সেই সুবাদে শুক্রবার বিকেলের দিকে ওই মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানিসহ ধর্ষণ চেষ্টা চালায় মনিরুল। এক পর্যায়ে ছাত্রীটির বান্ধবীরা হঠাৎ এসে পড়ায় তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় মনিরুল। পরে ওই ছাত্রী বাড়িতে ফোন করে তার মায়ের কাছে ঘটনাটি জানায়। ঘটনা শোনার পর ছাত্রীটির মা ওই দিন সন্ধ্যায় মনিরুলের বাড়িতে যায় এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মনিরুলকে জুতাপেটা করে লোক-লজ্জার ভয়ে মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে।
এলাকাবাসী জানায়, মনিরুল একটি ভদ্র ঘরের সন্তান হলেও সে দুষ্ট প্রকৃতির ছেলে। এমন ঘটনা এর আগেও কয়েকবার সে ঘটিয়েছে। লোকলজ্জার ভয়ে তারা কোথাও মুখ খুলতে সাহস পায়নি। এবারও যদি টাকার বিনিময়ে পার পেয়ে যায়, তাহলে আবারও সে এ ধরনের ঘটনা ঘটাবে।
এলাকাবাসী আরও জানান, ঘটনার একদিন পর শনিবার সকালে হরিনাপোতা গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে মোস্তাক হোসেন, শফিকুল ইসলাম, মোহাম্মাদ আলী, ইমান আলী ও সান্টু ছাত্রীটির চাচা জুব্বার আলীর সঙ্গে রাতের আধারে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে নগদ দুই লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রামের একটি মহল আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা কথা প্রচার করে বেড়াচ্ছে। এ রকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, বিষয়টি এএসপি সার্কেল স্যারকে জানানোর পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি কেউ স্বীকার করেনি। থানায়ও কেউ অভিযোগ দেয়নি। এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এনএস//
আরও পড়ুন