দুই সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যা
প্রকাশিত : ০৯:৩৫, ২ অক্টোবর ২০২১
যশোরের শার্শার পল্লীতে পারিবারিক কলহের জের ধরে ঝর্ণা খাতুন (৩০) নামে দুই সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী ফারুক পলাতক।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের রাড়িপুকুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১০ বছর আগে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার খোরদো গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে ঝর্ণা খাতুনের বিয়ে হয় শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের রাড়িপুকুর গ্রামের সিদ্দিক হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেনের সাথে। তাদের সংসার জীবনে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ফারুক পেশায় গরু ব্যবসায়ী। প্রথমে তাদের সংসার জীবন ভালো চললেও গত কয়েক বছর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিলো।
তারই জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী ফারুক স্ত্রী ঝর্ণাকে মারধর করে। পরে সকালে ঘরের আড়ার সাথে ঝর্ণার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
গৃহবধূর ভাই তরিকুল অভিযোগ করে বলেন, আমার বোনকে যখন ফারুকের সাথে বিয়ে দেই তখন তাদের মধ্যে কোনো ঝামেলা ছিলো না। গত কয়েক বছর ধরে যৌতুকের জন্য প্রায়ই বোনকে মারধর করে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতো। বোনের সুখের কথা ভেবে আমরা কয়েক বারে ফারুককে অনেক টাকা দিয়েছি। তবুও গত কয়েক মাস ধরে আরও আড়াই লাখ টাকা দাবি করে সে। ওই টাকা না দিতে পারায় প্রায় আমার বোনের উপর অত্যাচার-নির্যাতন চালাতো।
আমার বোন আত্মহত্যা করেনি, তাকে পিটিয়ে হত্যা করে নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগে করেন তিনি।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শষ্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এএইচ/
আরও পড়ুন