মেট্রোরেলের ইঞ্জিন-বগির আরও এক চালান এলো মোংলায়

মেট্রোরেলের আরও একটি চালান মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে। এই জাহাজে মেট্রোরেলের আটটি বগি ও চারটি ইঞ্জিনের দুই সেট কোচ ছাড়াও ৩২টি প্যাকেজের সরাঞ্জম এসেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন। 

শনিবার (২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় মেট্রোরেলের সরঞ্জামাদি নিয়ে মোংলা বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করে থাইল্যান্ড পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি এসপিএম ব্যাংকক’। গত ১৪ সেপ্টম্বর জাপানের কোবে বন্দর থেকে ছেড়ে আসে জাহাজটি।

এদিন সকালেই ওই জাহাজ থেকে মেট্রোরেলের বগি ও ইঞ্জিনগুলোর খালাস প্রক্রিয়া শুরু হয়। সন্ধ্যা নাগাদ  এসব পণ্য পুরোপুরি খালাস শেষ হবে বলেও জানান হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন। 

বিদেশি জাহাজ ‘এমভি এসপিএম ব্যাংকক’-এর স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনশিয়েন্ট স্টিম শিপ কোম্পানির খুলনাস্থ ব্যবস্থাপক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আগামী মাসে মেট্ররেলের বগি নিয়ে আরও একটি চালান আসার কথা রয়েছে। সব মিলে ২০২২ সালের মধ্যে ১০২টি মেট্রোরেলের বগি ও ইঞ্জিন আসবে বলেও জানান তিনি। 

এর আগে চারটি বিদেশি জাহাজে করে সর্বমোট ৩৪টি মেট্টোরেলের বগি মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়। এসব বগি সংযোজন হয়ে ইতোমধ্যে বাস্তবে রূপ নিয়েছে। গত ২৯ আগস্ট উত্তরা থেকে পল্লবী পর্যন্ত স্বপ্নের মেট্রোরেলের বাস্তব পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, দেশে আমদানি হওয়া মেট্রোরেলের এসব বগি মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হওয়ায় বন্দরের সক্ষমতা প্রমাণ হয়েছে। এর আগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন মালামাল ও যন্ত্রাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে আসে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯-২০২০ সালে বন্দরের আউটার বার ড্রেজিং সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমান বন্দরে ইনার বারের ড্রেজিং চলছে। নাব্যতা দূর হওয়াতে এখন বড় বড় জাহাজ আসতে পারছে। সবমিলিয়ে এটা একটা প্রতিফলন যে মোংলা বন্দর একটি গতিশীল বন্দর হিসেবে রূপান্তর এবং বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।’ 

মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির (ডিএমটিসিএল) সুত্র জানায়, ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দেশের প্রথম মেট্রোরেল লাইন-৬ নির্মিত হচ্ছে।

এএইচ/