কৌশলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা
প্রকাশিত : ১২:৫০, ৫ অক্টোবর ২০২১
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ ক্যাম্প থেকে নানা কৌশলে পালিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। এতে বাড়ছে মাদক চোরাচালানসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতা। এমন পরিস্থিতিতে ২০১৯ সালে দুই ক্যাম্পের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শেষ হলে নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি ঠেকানো যাবে ক্যাম্প থেকে পালানোর প্রবণতা।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি অস্থায়ী ক্যাম্পে বর্তমানে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুর বসবাস। নানা কৌশলে এসব রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির থেকে পালিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। এ প্রবণতা রোধে ২০১৯ সালে দুই ক্যাম্পের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়।
ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গারা বাইরে যাওয়ার সুযোগ পাওয়ায় মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে বলে মনে করছেন জনপ্রতিনিধিরা।
উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নুরুল আবছার বলেন, ড্রাইভাররা টাকার বিনিময়ে ওনাদেরকে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে।
পালংখালী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ব্যবসার উছিলায় তারা মিয়ানমার হতে প্রতিনিয়ত ইয়াবার নিয়ে আসছে।
বিষয়টি স্বীকার করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক জানান, ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শেষ হলে এটি রোধ করা সম্ভব।
কক্সবাজারের ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক নাঈমুল হক বলেন, পুরো প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন হলে এবং চেকপোস্ট ও ওয়াচ টাওয়ার হলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আর কোন ঘাটতি থাকবে না।
এদিকে, রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যার পর ক্যাম্পে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওই ঘটনার পর ক্যাম্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে।’
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো থেকে অবাধ যাতায়াত বন্ধ ও চারপাশে দ্রুত কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।
ভিডিও-
এএইচ/
আরও পড়ুন