সিনহা হত্যা মামলায় আমিনুলসহ ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
প্রকাশিত : ২৩:০২, ২৫ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ২৩:৩৬, ২৫ অক্টোবর ২০২১
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ৬ষ্ট দফায় সোমবার (২৫ অক্টোবর) পুলিশের এসআই আমিনুল ইসলাম সহ ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
সকাল সাড়ে দশটায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় এই সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এ নিয়ে এই মামলায় মোট ৪৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
আজ সোমবার আদালতে দেয়া স্বাক্ষীদের মধ্যে রয়েছে কনস্টেবল পলাশ ভট্টাচার্য, পুলিশ সদস্য আবু সালাম, হিরো মিয়া ওসালা মারমা, নবী হোসেন, আবুল কালাম ও শহীদ উদ্দিন।
এর আগে সকাল ১০টায় ওসি প্রদীপ সহ এই মামলার ১৫ জন আসামিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আদালতে নিয়ে আসা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, আজ সোমবার মেজর অবঃ সিনহা হত্যা মামলার ৬ষ্ট দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। সিনহার মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরিকারী পুলিশের এসআই আমিনুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। আজ এসআই আমিনুল ইসলাম ছাড়াও মোট ১৯ জন স্বাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
আদালতে সাক্ষ্যদানকালে এস আই আমিনুল ইসলাম তার জবানবন্দিতে বলেন, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে ঘটনার দিন তিনি কক্সবাজার সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। ওইদিন রাত আনুমানিক সাড়ে বারোটার দিকে তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে ডিউটিতে যান। এসময় তার সাথে ছিলেন কনস্টেবল পলাশ ও শুভ। তিনি কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের হাসপাতালের ডোম মনু ও ধলার সহযোগিতায় মেজর সিনহার লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় মেজর সিনহার ব্যবহৃত দ্রব্য সামগ্রীর জব্দ তালিকা তৈরি করেন। পরদিন ১ আগস্ট বিকেলে রামু ক্যান্টনমেন্টের সার্জেন্ট জিয়াউর রহমান ও আনিসুর রহমানের নিকট মেজর সিনহার লাশ হস্তান্তর করি। মামলার তদন্তকালে আইওর নিকট এ ব্যাপারে জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
আরকে//
আরও পড়ুন