জাতিসংঘ সম্পৃক্ত হওয়ায় ভাসানচরে যেতে আগ্রহী রোহিঙ্গারা
প্রকাশিত : ১৩:২৯, ৩০ অক্টোবর ২০২১
ভাসানচরে যেতে রোহিঙ্গাদের আগ্রহ বাড়ছে। ক্যাম্পটির কার্যক্রমে জাতিসংঘ সম্পৃক্ত হওয়ায় টেকনাফ-উখিয়ায় থাকা রোহিঙ্গাদের অনেকেই এখন ভাসানচরে যেতে চায়। আগ্রহীদের তালিকা হচ্ছে। আগামী মাসেই ফের স্থানান্তর শুরুর আশা সংশ্লিষ্টদের।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে গাদাগাদি করে থাকছে মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। ক্যাম্পগুলো খুবই ঘনবসতিপূর্ণ। মানবেতর জীবন-যাপন করছে তারা।
তাই এখান থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে অন্যত্র স্থানান্তরের লক্ষ্যে নোয়াখালীর ভাসানচরে নির্মাণ করা হয়েছে মানসম্মত একটি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র।
কিন্তু এতোদিন ক্যাম্পটির সাথে জাতিসংঘ শরনার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর যুক্ত না থাকায় সেখানে যেতে আগ্রহী ছিলেন না অনেকেই। তবে সম্প্রতি জাতিসংঘ যুক্ত হওয়ায় মনোভাব বদলাচ্ছে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গাদের। এক সময় যারা অনাগ্রহী ছিল, তাদের অনেকেই এখন ভাসারচরে যেতে চাইছে।
রোহিঙ্গা নেতারা জানান, ইউএনএইচসিআর ও বিভিন্ন ধরনের এনজিওর সাপোর্ট পেয়ে যাচ্ছি। বাংলা সরকারের প্রতি শুকরিয়া। আমরা এখন অনেক খুশি এবং একটা সুসংবাদ হচ্ছে ভাসানচরে যেতে অনেকেই আগ্রহী। সুখে-শান্তিতে সেখানে বসবাস করতে পারবে বলে আমরা আশা করি।
উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের ক্যাম্প ইনচার্জ জানিয়েছেন, স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের তালিকা হচ্ছে। অনেকেই যেতে আগ্রহী।
ক্যাম্প ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, গতবছর আমরা যখন স্থানান্তর করেছিলাম তখন জাতিসংঘ এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত ছিল না। সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষর হওয়ার পর আমরা লক্ষ্য করেছি যে, ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের মধ্যে একধরনের স্বস্তি বিরাজ করছে।
ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে স্থানান্তর করা হবে। আগামী মাসেই পুনরায় শুরু হবে এই প্রক্রিয়া।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “ঢাকাতে মুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সুতরাং আমরা আশা করছি যে, খুব শীঘ্রই ভাসানচরে জাতিসংঘ যে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে সেগুলো নিয়ে তারা সেখানে যাবে।”
এ পর্যন্ত ছয় দফায় মোট ১৮ হাজার ৫২১ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ভিডিও-
এএইচ/
আরও পড়ুন