ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

শিশু ছাত্রকে শিকলে বেঁধে নির্যাতন, থানায় মামলা

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৩৩, ৬ নভেম্বর ২০২১

আহত শিশু ছাত্র আব্দুল আলীম

আহত শিশু ছাত্র আব্দুল আলীম

বরগুনায় ১১ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে একদিন এক রাত শিকলে বেঁধে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে শিকলে বাঁধা অবস্থায় ওই ছাত্রকে উদ্ধার করেন তার বাবা-মা। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

সদর উপজেলার পশ্চিম হেউলিবুনিয়া এলাকার রিকশাচালক ফরিদ-তাসলিমা দম্পতির একমাত্র সন্তান আব্দুল আলিম। শিশু আলিম হেউলিবুনিয়া মৃধাবাড়ি হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ সে। এ কারণে মাঝেমধ্যেই মাদ্রাসা থেকে বাড়ি চলে আসতো সে। 

এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিন ধরে বাড়িতেই অবস্থান করছিল আলিম। পরে গত বুধবার (৩ নভেম্বর) বাড়ি থেকে জোরপূর্বক আমিলকে মাদ্রাসায় নিয়ে যায় মারুফ বিল্লাহ নামের এক শিক্ষক। এরপর তাকে মাদ্রাসার একটি রুমে শিকলে বেঁধে রাখা হয়। পরে সুযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) ফজরের নামাজের সময় তালা খুলে বাড়িতে চলে আসে আলিম। 

আলিমকে ফের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় শিক্ষক মারুফ বিল্লাহসহ কয়েক জন শিক্ষক। এরপর আবারও শিকলে বেঁধে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। শিশুটির কান দিয়ে রক্ত ঝরছে। ডানহাত নাড়াতে পারছে না। পেটানোর চিহ্ন রয়েছে সর্বশরীরে।

স্থানীয়দের কাছে এ খবর পেয়ে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে মাদ্রাসা থেকে শিকল বন্দী অবস্থায় আলিমকে উদ্ধার করে তার বাবা-মা। চিকিৎসার জন্য আনা হয় বরগুনা সদর হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় যান বাবা-মা। অভিযুক্ত শিক্ষক মারুফের শাস্তি দাবি করেন তারা।

এদিকে আলিমকে উদ্ধার করার পরপরই মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে গেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক মারুফ বিল্লাহ। আলীমকে অমানুষিক নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

এবিষয় বরগুনা সদর থানার ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম শনিবার সকালে মুঠোফোনে বলেন, আমরা মামলা এজাহার ভূক্ত করেছি এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি