রূপপুরে লেগেছে রুশ সংস্কৃতির ছোঁয়া
প্রকাশিত : ১২:৩২, ৬ নভেম্বর ২০২১
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে রাতারাতি বদলে গেছে ঈশ্বরদীর রূপপুর, সাহাপুর ও নতুনহাট এলাকার চিত্র। অজো পাড়াগাঁয় গড়ে উঠেছে নতুন নতুন ভবন, শপিংমল, মার্কেট, আন্তর্জাতিকমানের হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও রিসোর্ট। প্রকল্পে কাজ করতে আসা রাশিয়ানদের সাথে গড়ে উঠেছে স্থানীয়দের মধুর সম্পর্ক। এখানকার দোকানপাট, হোটেল, রেস্টুরেন্টের নামকরণও হয়েছে রুশ ভাষায়। তাইতো রূপপুর এখন পরিচিত হচ্ছে রুশপুর নামে।
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর, সাহাপুর, নতুনহাট এলাকা। ৬-৭ বছর আগেও ছিল নীরব এক গ্রাম। এলাকাটি এখন দারুন কর্মচাঞ্চল।
গড়ে উঠেছে সুউচ্চ ভবন, আধুনিক বিপনি বিতান, আন্তর্জাতিক মানের হোটেল, রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্ট। রূপপুর প্রকল্পের উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে জীবন-জীবিকা। গোটা এলাকায় লেগেছে রুশ সংস্কৃতির ছোঁয়া।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করছেন রাশিয়া, বেলারুশ, উজবেকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের কমপক্ষে দুই হাজার প্রকৌশলী ও শ্রমিক। বিদেশীদের বসবাসে গ্রীন সিটিতে গড়ে উঠেছে ২০তলা ২০টি আবাসিক ভবন। এর বাইরে হোটেল, রিসোর্ট, বিপণিবিতানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থান হয়েছে স্থানীয়দের। বিদেশীদের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠেছে তাদের।
স্থানীয়রা জানান, স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করছে, ওরা অনেক বেশি খুশি। ওদের প্রয়োজনীয় খাবারগুলো এখানে পাচ্ছে। আমরা রাশিয়ানদের সঙ্গে ডিলিংস করছি, ওদের মনমানসিকতা অনেক ভালো। তারা কি বলছে আমরা কি বলছি, তা সবাই বুঝতে পারছি। তাদের চাহিদা আমরা পূরণ করতে পারছি।
সাহাপুর, নতুনহাট, রূপপুর, পাকশী ও ঈশ্বরদী শহরে গড়ে ওঠা একাধিক বিপণিবিতান, আধুনিক শপিংমল ও হোটেলগুলের নাম রাখা হয়েছে রুশ ভাষায়। তাই রূপপুর এখন পরিচিতি পেয়েছে রূশপুর নামে।
ব্যবসায়ীরা জানান, এখানে যে মার্কেটগুলো গড়ে উঠেছে তা সম্পূর্ণ রাশিয়ার উপর নির্ভর করে। বিদেশিরা এখানে স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারছে।
বাংলাদেশীদেরও আপন করে নিয়েছেন বিদেশীরা। একে অপরের ভাষাও রপ্ত হয়েছে। রূপপুরের রুপে তারাও মুগ্ধ।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ঘিরে আগামীতে এ অঞ্চলে আরও উন্নয়ন ঘটবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
ভিডিও-
এএইচ/
আরও পড়ুন