ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

শরণখোলা-মঠবাড়িয়াবাসীর স্বপ্ন পূরণ

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৩:২৩, ১০ নভেম্বর ২০২১

রায়েন্দা-মাছুয়া নৌরুটে চালু হলো ফেরি

রায়েন্দা-মাছুয়া নৌরুটে চালু হলো ফেরি

উত্তাল বলেশ্বর নদীতে রায়েন্দা-মাছুয়া নৌরুটে ফেরি চালুর মধ্য দিয়ে বাগেরহাটের শরণখোলা ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়াবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হল। 

বুধবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ঘাটে বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য আমিরুল আলম মিলন ও পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী এই ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন করেন।

এসময়, শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাত, শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তা, সাধারণ সম্পাদক আছাদুজ্জামান মিলনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। 

ফেরি উদ্বোধন দেখতে দুইপাড়ে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হন। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা বলেশ্বর নদীতে ফেরি চালু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। 

ফেরি চালুর খবরে আনন্দে ভাসছেন এই অঞ্চলের মানুষ। ফেরি চালুর ফলে দুই আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর মোংলা ও পায়রার সঙ্গে সড়ক পথে দূরত্ব কমেছে ৭০ কিলোমিটার। ফলে বাঁচবে সময় ও অর্থ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালীসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলোর লাখো মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় এ ফেরি সার্ভিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বাগেরহাট সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বলেশ্বর নদীর দুই তীরের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ ও দ্রুততর করতে রায়েন্দা-বড়মাছুয়া ফেরিঘাট নির্মাণ করা হয়েছে। এ বছরের মার্চ মাসে রায়েন্দা পার্শ্বে রাস্তা নির্মাণ শুরু হয়ে অক্টোবরের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হয়। এই কাজে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। 

ফেরি উদ্বোধনী ট্রিপের চালক আব্দুর রউফ বলেন, এই ট্রিপের মাধ্যমে আমি ইতিহাসের স্বাক্ষি হলাম। মাছুয়া থেকে রায়েন্দা ঘাটে ভীড়তে ৪০ মিনিট সময় লেগেছে। অন্যান্য সময় হয়তো ৪০ থেকে ৫০ মিনিট লাগতে পারে।

বাগেরহাট সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার একটা বড় অংশের সাথে বাগেরহাটের মানুষের যোগাযোগের বলেশ্বর নদীতে রায়েন্দা-বড়মাছুয়ার খেয়া ব্যবহৃত হতো। এখন ফেরি চালু হওয়ায় দুই তীরের মানুষ স্বল্প সময় এবং অল্প ব্যয়ে তাদের প্রয়োজনীয় যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবেন।

বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য আমিরুল আলম মিলন বলেন, অবস্থানগত কারণে বাগেরহাট এবং পিরোজপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো একটি ফেরির। অবশেষে তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ফেরি চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এই জনপ্রতিনিধি।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি