অগ্নিদগ্ধের ৩২ দিন পর স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু
প্রকাশিত : ২৩:৩৬, ২৫ নভেম্বর ২০২১
তেতুল খেতে গিয়ে তা কাল হয়ে দাঁড়ালো অরিশা খাতুন নামে ১০ বছরের এক স্কুল ছাত্রীর। ৩২ দিন হাসপাতালে চিকিৎসার পর লাশ হয়ে ফিরলো পরিবারের কাছে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের শার্শা উপজেলার টেংরালী গ্রামে।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, টেংরালী গ্রামের নূর হোসেনের মেয়ে টেংরালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী অরিশা খাতুন গত ২২ অক্টোবর গ্রামের অন্য একটি বাচ্চাকে দেখে সে নিজেও আগুন দিয়ে তেতুল পুড়িয়ে খেতে যায়। কিন্তু কিছু বুঝে উঠার আগেই অসাবধানতার কারণে প্রথমে তার ওড়নাতে আগুন ধরে যায় এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আগুন তার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর চিৎকার শুরু করলে আশেপাশের লোকজন তাকে দ্রুত উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু অবস্থায় অবনতি হলে ৪৮ ঘন্টা পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিট হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও ভাগ্য বদলায়নি শিশু আরিশা খাতুনের। দীর্ঘ চিকিৎসার পর বুধবার (২৪ নভেম্বর) রাত ৮টায় ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিট হাসপাতালে চিকিৎসাধী অবস্থায় মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে নিহতের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এ সময় পরিবারের লোকজনসহ আশেপাশের মানুষের কান্নায় এলাকার আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠে। জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় অরিশা খাতুনকে। শিশু অরিশার অকাল মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এসি
আরও পড়ুন