ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

কারাগারে নয়, ৭০ শিশু বাবা-মায়ের জিম্মায় (ভিডিও)

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৩৫, ২৭ নভেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১২:৩৬, ২৭ নভেম্বর ২০২১

‘কারাগারে নয় ফুলের সুগন্ধ বিলিয়ে’ ৭০ শিশু অভিযুক্তকে সংশোধনের জন্য বাবা-মায়ের জিম্মায় দিলেন বিচারক। ৫০টি মামলায় ৭০ জন শিশুকে প্রতিদিন দুটি ভালো কাজের সুযোগ দিয়ে সংশোধনের সুযোগ দিলেন শিশু আদালতের বিচারক জাকির হোসেন।

ওরা ৭০ জন শিশু-কিশোর। জড়িয়ে পরেছিলো নানা অপরাধে। এসব শিশুদের কঠিন সাজা না দিয়ে বাবা-মার সাথে থেকেই সংশোধনের সুযোগ দেয়া হয়।

আর এই কাজটি করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জাকির হোসেন। বাড়িতে যাওয়ার সময় ওই শিশুদের দেয়া হয় একটি ডায়রী আর ফুলের স্টিক। বলা হয়, প্রতিদিন ২টি ভাল কাজ করতে হবে তাদের এবং আদালতের দেয়া ডায়রীতে তা লিখে রাখতে হবে। বছর শেষে সেই ডায়রী জমা দিতে হবে আদালতে।

এছাড়া অন্য শর্তগুলো ছিলো- বাবা-মাসহ গুরুজনদের আদেশ-নির্দেশ মেনে চলা। বাবা মায়ের সেবা যত্ন করা ও কাজেকর্মে তাদের সাহায্য করা। নিয়মিত ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা এবং ধর্মকর্ম পালন করা। অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করা, মাদক থেকে দূরে থাকা। বিচারকের এমন রায়ে সন্তুষ্ট অভিভাবকরা।

অভিযুক্ত শিশুরা জানান, নির্দেশ যা দিয়েছে তা মেনে চলার চেষ্টা করবো। পড়ালেখা করবো, কোন মারামারি করবো না আমরা। 

এসব শর্ত পালন হচ্ছে কিনা তা আগামী এক বছর একজন প্রবেশন কর্মকর্তা পর্যবেক্ষণ করবেন।  

প্রবেশন অফিসার মো: শফিউর রহমান বলেন, ‘বছর শেষে তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে হবে। তারা এগুলো মেনেছে বা মানেনি। এগুলোই হচ্ছে আমাদের কাজ।’

এই উদ্যোগের ফলে পরিবারের সান্নিধ্যে শিশুরা সুন্দর জীবন গঠনের সুযোগ পাবে বলে মনে করেন আইনজীবীরা। 

শিশু আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হাসান মাহবুব সাদী বলেন, লঘু অপরাধে অভিযুক্ত শিশুরা মুক্ত হয়ে মা-বাবার কোলে ফিরে গেলো। শিশুরা তাদের মা-বাবাদের কাছে থাকবে এবং সংশোধনের সুযোগ পাবে।

শিশু আদালতের বিচারক জাকির হোসেন এর আগেও একসঙ্গে শতাধিক মামলার রায় দিয়ে বিচার প্রার্থীদের প্রশংসা পেয়েছেন।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি