বেতন বকেয়ায় প্রবেশপত্র না পাওয়া পরীক্ষার্থীর পাশে ডিসি
প্রকাশিত : ২০:২৪, ৩ ডিসেম্বর ২০২১ | আপডেট: ২০:৩৮, ৩ ডিসেম্বর ২০২১
পরীক্ষার হলে জরিপ আলী
বকেয়া টাকা এবং ফরম পূরণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় নাটোরে এইচএসসি পরীক্ষার্থী জরিপ আলীকে প্রবেশপত্র দেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে পেরেছেন ওই শিক্ষার্থী।
নাটোর সদর উপজেলার বাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামের এইচএসসি পরীক্ষার্থী বঙ্গবন্ধু কলেজের বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী। ২০১৮ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে জরিপের উপার্জনেই সংসার চলতো তাদের। দারিদ্রতার কারণে জরিপ কখনও দিনমজুর আবার কখনও রাজমিস্ত্রীর হেলপার হিসেবে কাজ করে কোনওরকমে সংসার চালাতো। অভাবের কারণে কলেজের টাকা দিতে না পারায় কলেজ থেকে প্রবেশপত্র দেয়া হয়নি।
সংসার চালাতে গিয়ে জরিপ কলেজের সেশন ফি এবং পরীক্ষা ফি’র পুরো টাকাই দিতে পারেনি। গত শনিবার সে কলেজে গিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রবেশপত্র চায়, কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ টাকা বকেয়া থাকায় প্রবেশপত্র দেয়নি। নিরুপায় হয়ে ফিরে আসে হতাশ জরিপ।
বৃহস্পতিবার নাটোর মহিলা কলেজ কেন্দ্রে প্রথম পরীক্ষা (হিসাববিজ্ঞান) শুরু হয়। সেই মোতাবেক কেন্দ্রেও আসে সে। কিন্তু প্রবেশপত্র না থাকায় পরীক্ষা কক্ষে ঢুকতে পারেনি। পরে মহিলা কলেজের একজন স্টাফ তাকে জিজ্ঞেস করে কেন ঘোরাফেরা করছে। পরে জরিপের সমস্যার কথা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান ওই স্টাফ। গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে সময়মতো পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারার খবর শুনে তাৎক্ষণিক পরীক্ষা কেন্দ্রে ছুটে যান জেলা প্রশাসক। পরে জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে জরিপ আলী।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদে জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে জরিপ আলীর কলেজের পাওনা ২,১০০ টাকা পরিশোধ করে দেন কলেজ কর্তৃপক্ষকে। টাকার জন্য প্রবেশপত্র না দিয়ে পরীক্ষা দিতে বাধা দেয়া একজন শিক্ষার্থীর জীবন নষ্ট করার শামিল। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলেজের অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মৌসুমি পারভিন বলেন, জরিপ আলীর প্রবেশপত্র না পাওয়ার বিষয়টি তিনি জানতেন না। জরিপ আলী বা তার পরিবারের কেউ আমাদের কিছু জানায়নি।
কেআই/এনএস//
আরও পড়ুন