ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪

ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে দিনমজুরকে কুপিয়ে হত্যা

একুশে টেলিভিশনঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:৩৭, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১

ঝালকাঠিতে মিরাজ শেখ (৩৫) নামের এক দিনমজুরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। নিহত মিরাজ নৈকাঠি গ্রামের শেখ সত্তারের ছেলে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, কেওরার ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম তার দলবল নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিরাজের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক রিজভী আহম্মেদ।

নিহতের স্বজন কামাল হোসেন জানান, বুধবার সকাল ১০টায় লাশের ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পর দাফনের জন্য ঝালকাঠিতে নেয়া হবে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনরা জানান, কেওরা ইউনিয়নের নৈকাঠি বাজারে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মিরাজকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়েছে আহত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। সন্ত্রাসীরা তার দুটি পা গুড়িয়ে দিয়েছে এবং এবং চোখ তুলে ফেলেছে। 

রাতেই আহত মিরাজকে মুমুর্ষ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

নিহত মিরাজের মা মাকসুদা বেগম বলেন, ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের সাথে আমাদের জমিজমা সংক্রান্ত পুর্ব শত্রুতা ছিলো। তাই ওরা আমার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

নিহতের বোন রোজিনা আক্তার বলেন, দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করেছে নজরুল মেম্বার। আমরা মামলা করবো, ভাই হত্যার বিচারের দাবিতে যা যা করা প্রয়োজন করবো।

হামলার পর স্থানীয়রা আহত অবস্থায় মিরাজকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক সিয়াম হাসান জানান, রোগীর একটি হাত এবং দুটি পা ভেঙে গেছে। সেই সাথে একটি চোখ জখম হয়েছে। পায়ের ভেতরে ব্লিডিং হয়েছে। সব মিলিয়ে তার মৃত্যুঝুঁকি থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে প্রেরণ করা হয়।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

তবে এ বিষয়ে কেওরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ খান বলেন, ঘটনা শুনে রাতেই আমি ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে গিয়েছি, রোগীর খোঁজ নিয়েছি। এই হত্যাকাণ্ডে মেম্বারের জড়িত থাকার বিষয়টির প্রমাণ পাওয়া গেলে তা কিছুতেই ছাড় দেয়া হবে না।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, নিহতের খবর শুনে আমি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত রেখে মামলা লিপিবদ্ধ করার জন্য নিহতের আত্মীয় স্বজনরা থানায় এসেছে। 

মামলাটি গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে জানান ওসি।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি