টাঙ্গাইলের শাড়ি বিশ্বজুড়ে সমাদৃত (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:০৩, ২১ ডিসেম্বর ২০২১

টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। বাহারি ডিজাইন, বৈচিত্র্য আর নতুনত্বের জন্য টাঙ্গাইল শাড়ি ব্রিটিশ আমল থেকে খ্যাতি পেয়েছে। বংশ-পরম্পরায় আজও এ শিল্প টিকিয়ে রেখেছেন তাঁতীরা।
নিত্য নতুন ডিজাইনের শাড়ি তৈরি হয় টাঙ্গাইলের তাঁতপল্লীতে। মসলিন জামদানী, তসর সিল্ক, দোতারী সিল্ক, বুটিক কাজ, সুতি জামদানী, কাঁতান, বালুচুরি, হাজার বুটিক, বেনারসীসহ নানা নামের মনকাড়া বাহারী টাঙ্গাইল শাড়ি।
এই শাড়ির তাঁতিরা মূলত ঐতিহ্যবাহী মসলিন শিল্পীদের বংশধর। তাদের আদি নিবাস ঢাকা জেলার ধামরাই ও চৌহাট্টায়। পরে তারা টাঙাইলের দেলদুয়ার, সন্তোষ ও ঘ্রিন্দা এলাকার জমিদারদের আমন্ত্রণে সেখানে যান। পরবর্তিতে পাথরাইল ও কালিহাতীতে বসবাস শুরু করেন।
টাঙ্গাইল শাড়ি উৎপাদক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রঘুনাথ বসাক বলেন, সুন্দর আবহাওয়া দেখেই আমাদের পূর্ববর্তী বংশধররা এখানে অবস্থান করেন। এখানেই তাঁতের শাড়ি উৎপাদন করে বিশ্বের বাজারে রপ্তানিতে অংশগ্রহণ করেন।
শুরুতে তারা নকশাবিহীন কাপড় তৈরি করতেন। ১৯২৩-২৪ সালে তাঁতের কাপড়ে নকশা প্রবর্তন করা হয়। ঐতিহ্যবাহী এই শাড়ির নামকরণ হয়েছে টাঙ্গাইল জেলার নামেই।
প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারী ও খুচরা ক্রেতারা কিনতে আসেন শাড়ির রাজধানীখ্যাত পাথরাইলে। দাম তিনশ’ টাকা থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত। এ শাড়ি দেশের চাহিদা মিটিয়ে ভারত, আমেরিকা, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
টাঙ্গাইল শাড়ির ডিজাইনার খোকন বসাক বলেন, কটন, হাফসিল্ক, পিওর সিল্ক ও মসলিন- এইগুলোর মধ্যে সাধারণত আমরা কাজ করি।
যেকোনো উৎসব সামনে রেখে প্রায় দুইশ’ কোটি টাকার শাড়ি বেচাকেনা হয় টাঙ্গাইলের তাঁতপল্লীতে।
এএইচ/
আরও পড়ুন