মিরসরাইয়ে ৩০ কিলোমিটার রেলপথে অর্ধশত মৃত্যুফাঁদ
প্রকাশিত : ১৫:৩৫, ২২ ডিসেম্বর ২০২১
পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের চট্টগ্রাম অংশের মিরসরাই উপজেলার অরক্ষিত ৩০ কিলোমিটার জুড়ে প্রায় অর্ধশত ক্রসিংই যেন মৃত্যুফাঁদ। এসব ক্রসিংয়ে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটলেও নেয়া হচ্ছে না কার্যকর পদক্ষেপ। প্রকল্পের আওতায় ক্রসিংগুলোতে ইন্টারলগিং সিস্টেম কার্যকর করার কথা থাকলেও তার বালাই নেই।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় মিরসরাই-ফটিকছড়ি সদর সংযোগসড়কের আমবাড়ীয়া ক্রসিংয়ে কোন গেট নেই, গেটম্যানও নেই। অথচ এ সড়কে প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী ও যানবাহন চলাচল করে।
এদিকে, মিরসরাইয়ের ধুমঘাট রেলসেতু থেকে দক্ষিণের বারৈয়াঢালা পর্যন্ত অন্তত ৫০টি অবৈধ ক্রসিং গড়ে উঠেছে। চোরাই কাঠ ও পণ্য পরিবহণের স্বার্থে চোরাকারবারীরা এসব ক্রসিং তৈরি করেছে জানান স্থানীয়রা। এসব ক্রসিং বন্ধে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিলেও তা কার্যকর হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৈধ ক্রসিংগুলোর মধ্যে বারইয়াহাট, বিএসআরএম গেইট, মহামায়া ব্যতীত বাকি চারটিতে গেইটম্যান নেই। ফলে চোরাকারবারীরা ক্রসিংগুলো দিব্যি ব্যবহার করছে।
স্থানীয়রা জানান, এখানে কখনো গেট বা গেটম্যান দেয়া হয় না। মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটলে রেলের লোকজন এসে গাড়ী চলাচল বন্ধ করার চেষ্টা চালায়।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের এক স্টেশন কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন সময় চোরাকারবারীদের প্রতিরোধে অবৈধ ক্রসিংগুলোতে লোহার খুঁটি দিয়ে ঘিরে রাখলেও রাতের অন্ধকারে ফেলে দেয়া হয়।
এদিকে, ক্রসিংগুলোতে দুর্ঘটনায় একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ প্রাণ হারায় এক চিকিৎসকসহ দুজন। ওইসময় আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১৫ জন। গত ৫ বছরে এখানকার ক্রসিংয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন অন্তত ২০ জন।
মিরসরাইয়ের চিনকি আস্তানা রেলওয়ে স্টেশনের ইনচার্জ মঈনুল হুদা জানান, একসময় বারইয়ারহাট লেভেলক্রসিং এ ইন্টারলগিং সিস্টেম ছিলো। তবে ডবল হওয়ার পর থেকে এটি উভয় লাইনে যুক্ত করা হয়নি। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু এখনও এটি হয়নি।
এএইচ/
আরও পড়ুন