স্ত্রীকে হত্যার জন্য ৪ রাউন্ড গুলি, চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলে
প্রকাশিত : ১০:৫৫, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় বড়শলুয়া গ্রামের আরাফাত হোসেন স্মরণী বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয়ের ভেতর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাফিয়া ইয়াসমিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েছেন স্বামী ফারুখ হোসেন। এই হত্যাচেষ্টা ও অবৈধ গুলি রাখার অপরাধে তাকে আটক করে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনার মামলায় বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুখ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে দর্শনা থানা পুলিশ। এর আগে বুধবার বিকালে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন স্ত্রী। এছাড়া অবৈধ গুলি রাখার অপরাধে দর্শনা থানায় মামলা করে পুলিশ।
রাতে দুই ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে স্বামী ফারুখ হোসেনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে লাইসেন্সকৃত পয়েন্ট টুটু বোর রাইফেল ও অবৈধ গুলি উদ্ধার করা হয়।
নাফিয়া ইয়াসমিন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিএম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তার স্বামী ফারুখ হোসেন আরাফাত হোসেন স্মরণী বিদ্যাপীঠ নিম্নমাধ্যমিক শাখার প্রধান শিক্ষক এবং তিতুদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। ফারুখের দ্বিতীয় স্ত্রী নাফিয়া ইয়াসমিন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্বামী-স্ত্রী একই জায়গায় চাকরি করার সুবাদে প্রায়ই সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ফারুখ হোসেন বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে চলে যান।
দুপুর ১২টার দিকে তার লাইসেন্সকৃত রাইফেল নিয়ে এসে স্ত্রী নাফিয়া ইয়াসমিনকে হত্যার উদ্দেশে ৪ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় নাফিয়া ইয়াসমিন জীবন বাঁচাতে দৌড়ে বিদ্যালয়ের পেছনের ডোবার মধ্যে লুকিয়ে পড়লে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তাতে প্রাণে বেঁচে যান নাফিয়া।
গুলির আওয়াজ ও চিৎকার-চেচামেচিতে এলাকায় ব্যাপক আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম লুৎফুল কবীর বলেন, নাফিয়া ইয়াসমিনের ভাষ্য অনুযায়ী পারিবারিক কলহের জেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরে তাকে লক্ষ্য করে ৩ থেকে ৪ রাউন্ড গুলি ছোড়েন তার স্বামী। এ ঘটনায় বুধবার ভোরে নিজ বাড়ি থেকে গোলাম ফারুক হোসেনকে আটক করা হয়। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
ওসি আরও বলেন, তার অস্ত্রটি বৈধ। তার নামে ১০০টি বরাদ্দকৃত গুলি বরাদ্দ আছে। তবে তার কাছ থেকে আমরা ১৩৪টি গুলি উদ্ধার করেছি।
এএইচ/
আরও পড়ুন