নোয়াখালীর ১৬ ইউপিতে চলছে ভোট, নারীদের উপস্থিতি বেশি
প্রকাশিত : ০৯:২৪, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ | আপডেট: ০৯:২৬, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১
নোয়াখালীর সদর ও কবিরহাট উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে পরিষদের ভোটগ্রহণ চলছে। ১৫৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০১টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। ভোটের আগের রাতে বিভিন্ন কেন্দ্রের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সাধারণ ভোটারদের আতংকিত করা হলেও সকাল থেকেই মহিলাদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মত।
রোববার সকাল ৮টা থেকে সদরের ৯টি ইউনিয়নে ৯২টি ও কবিরহাটের ৭টি ইউনিয়নের ৬৬টি কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
জানা গেছে, ভোটের আগের দিন শনিবার রাতে সদর উপজেলার দাদপুর, এওজবালিয়া, চরমটুয়া, নেয়াজপুর, অশ্বদিয়া, কবিরহাটের বাটইয়া, সুন্দলপুর ইউনিয়নে বিভিন্নস্থানে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বিভিন্ন কেন্দ্রের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে।
শনিবার রাত ৮টার দিকে কবিরহাটের নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড ফলাহারী ট্রন্সমিটার এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীক ও নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।
পরে উভয়পক্ষের লোকজন ওই ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।
জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্য মতে, সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫২ ও কবিরহাটের ৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সদরে ১ লাখ ১১ হাজার ২৬৬ জন নারী, ১ লাখ ২২ হাজার ৫৩০ পুরুষ ভোটারসহ মোট ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৯৬ জন ভোটার রয়েছেন। কবিরহাটে ৭০ হাজার ১৩ জন নারী ও ৭৫ হাজার ৬১১ জন পুরুষসহ মোট ভোটার ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬২৪ জন।
জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভোটের পরিবেশ সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে ১ জন পুলিশ কর্মকর্তা, ৩ জন কনেস্টবল, ৭ জন নারী ও ১৭ জন পুরুষ আনসারসহ মোট ২২ জন দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও পুলিশের মোবাইল টিম, গোয়েন্দা, স্ট্যাইকিং, সাদা পোশাকের পুলিশ, র্যাব, বিজিবি সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে। বিশেষ দায়িত্বে আছেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
এএইচ/
আরও পড়ুন