৪৬ বছরেও ভবন পায়নি মোংলা পোর্ট পৌরসভা
প্রকাশিত : ১৫:২৪, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১
মোংলা পোর্ট পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর পেরিয়ে গেছে ৪৬ বছর। এত বছর পরও নিজস্ব জায়গার অভাবে পৌরসভার কোনো ভবন হয়নি। পৌর কার্যক্রম চলছে অন্যের বাড়িতে।
১৯৭৫ সালের ১ ডিসেম্বর বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে প্রতি মাসে ২২ হাজার টাকায় ২৭ শতাংশ জমি ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এভাবে কেটে যায় প্রায় ৩৬ বছর। নিজস্ব জায়গা না থাকায় পৌরসভার কার্যক্রম চলছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের তিনতলা বিশিষ্ট জরাজীর্ণ পরিত্যক্ত একটি ভবনে। যেটি একসময় বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের হাসপাতাল ছিল।
জারাজীর্ণ ও ঝুঁকি হওয়ায় পরবর্তীতে সেটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পাওয়ার হাউস রোডস্থ অবস্থিত সেই ২০ কক্ষবিশিষ্ট তিনতলা ভবনে চলছে পৌরসভার কার্যক্রম। ভবনটির দ্বিতীয় তলার উত্তর পাশের কক্ষে বসেন মেয়র, সচিব ও নির্বাহী প্রকৌশলী। নিচতলার দক্ষিণ পাশে অফিস সহায়ক ও নাগরিক সনদপত্র দেওয়াসহ অন্যান্য কাজ চলছে।
ভবনের তিনতলার বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তরা খুলে পড়েছে। সামনের অংশে রড বের হয়ে গেছে। পিলারে ফাটল ধরেছে। অত্যন্ত জরাজীর্ণ হওয়ায় ঝুঁকি মাথায় নিয়েই এখানে কাজ করছেন মেয়রসহ ৩৫ জন স্থায়ী এবং ১০৫ জন অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী।
পৌর ভবনের এই হাল দেখে ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ আলী আজম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াসিম আরমান, আব্দুল জলিল ও কেয়া বেগম বলেন, উপজেলায় অন্যসব ইউনিয়নেও এর চেয়ে ভালো ভবন রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে আমাদের পৌরসভায় বিভিন্ন কাজ নিয়ে যেতে হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত বলেও মনে করেন তারা।
পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান জানান, আমাদের অনেক দুঃখ। ৪৬ বছরেও আমরা পৌরসভার জন্য কোন স্থায়ী জায়গায় ভবন করতে পারি নাই। অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে নাগরিকদের সেবা করতে হচ্ছে।
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, বিগত বছরে যারা মেয়র বা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তারা এ বিষয়ে কোন গুরুত্বই দেননি।
মেয়র শেখ আব্দুর রহমান আরও বলেন, এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর দায়িত্ব বুঝে নিয়ে আমি বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছি। জেলা প্রসাশকের কাছে ৫২ শতাংশ জায়গা চেয়ে আবেদনও করেছি। বিকল্প হিসেবে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছেও জায়গার জন্য আবেদন জানিয়েছি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।
জায়গা পেলে নাগরিক সেবার কার্যক্রমের গতিশীলতা বাড়বে বলেও জানান তিনি।
এএইচ/
আরও পড়ুন