দলিল লেখকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
প্রকাশিত : ১৫:০৩, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১
নোয়াখালী সদর রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক মো. জামাল উদ্দিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সোনাপুর উত্তরা ব্যাংক শাখার থেকে ৭০ লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন নোয়াখালীর সহকারি পরিচালক সুবেল আহমেদ বাদী হয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-০৪।
মামলার আসামিরা হচ্ছেন- সুবর্ণচর উপজেলার পশ্চিম চরজব্বর চররশিদ গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে মো. শাহজাহান, সদর উপজেলার পাক কিশোরগঞ্জ জালিয়াল এলাকার সেকান্দার মিয়ার ছেলে মো. শরিফ উল্যাহ, একই এলাকার ছায়েদুল হকের ছেলে সেকান্দার মিয়া এবং উত্তর ওয়াপদা পূর্ব শুল্লকিয়া গ্রামের হাজী আব্দুল মান্নানের ছেলে ও সদর রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক জামাল উদ্দিন।
উক্ত টাকা ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে সরকারের এক লাখ বারো হাজার তিনশ’ বিশ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার আব্দুল্লাহ মিয়ারহাট বাজারের মেসার্স জননী ট্রেডার্সের মালিক শাহাজাহান আব্দুল্লাহ ব্যবসা সম্প্রসারণের ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর উদ্দেশ্যে উত্তরা ব্যাংক সোনাপুর শাখায় পঞ্চান্ন লাখ টাকা ঋণের আবেদন করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে শাখা কর্তৃক ঋণ প্রস্তাব ঢাকায় উত্তরা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় প্রেরণ করা হয়।
পরে ৪৭.৩৫ শতাংশ জমি বন্ধক নিয়ে পঞ্চাশ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এরপর ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর পুনঃরায় ব্যবসা বাড়ানোর জন্য আরও ৯.৬৫ শতাংশ জমি ও বাড়িবন্ধক রেখে ঋণসীমা ৭০ লাখ টাকা বৃদ্ধির আবেদন করেন তিনি। অনুমোদন পাওয়ার পর ৯.৬৫ শতাংশ জমিসহ মোট ৫৭ শতাংশ জমি সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের মাধ্যমে বন্ধকী দলিল মূলে সম্পাদন করেন।
উল্লিখিত ৯.৬৫ শতাংশ জমি সেকান্দর মিয়ার কাছ থেকে ক্রয় করে একতলা বাড়ি তৈরি করেন শাহজাহান। সেকান্দর মিয়া হলেন শাহাজানের স্ত্রীর বড় বোনের স্বামী। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ব্যাংকে বন্ধক দেওয়ার আগের দিন ওই আবাসিক জমি ভিটি হিসেবে দেখিয়ে সেকান্দর মিয়ার ছেলে শরিফ উল্যাহর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ওই জমি হস্তান্তরের সময় বাড়িটির কথা গোপন রেখে দলিল নিবন্ধন করা হয়। যার মাধ্যমে সরকারের ১ লাখ ১২ হাজার ৩২০ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়। দলিল লেখক জামাল উদ্দিন এ কাজে সহযোগিতা করেন। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ তাহসিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এএইচ/
আরও পড়ুন