সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে পেটালেন স্বাস্থ্যকর্মী
প্রকাশিত : ২৩:৩৮, ২ জানুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ২৩:৪০, ২ জানুয়ারি ২০২২
চুয়াডাঙ্গায় সংবাদ প্রকাশের জেরে আহসান আলম নামে এক সংবাদকর্মীকে বেধড়ক পিটিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী। রোববার (২ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভেতরেই সাংবাদিককে পিটিয়ে জখম করেন। পরে সাংবাদিক আহসান আলমকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর সাংবাদিক আহসান আলম বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন। আহসান আলম চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পশ্চিমাঞ্চলের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত।
অভিযুক্ত ওয়ার্ডবয় রাসেল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড় গ্রামের দক্ষিণপাড়ার সাগরের ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ওয়ার্ডবয় হিসেবে কর্মরত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২ জানুয়ারি) ‘চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় রাসেলের সাথে আস্থা প্রকল্পের আয়া বৃষ্টির অনৈতিক সম্পর্কেও অভিযোগ’ শিরোনামে ‘পশ্চিমাঞ্চল’ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। রোববার সকাল ১০টার দিকে আহসান আলম চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভেতরে চা পান করে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
এ সময় রাসেল তার এবং বৃষ্টির অনৈতিক বিষয় সংবাদপত্রে প্রকাশের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে আহসান আলম সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলার জন্য পরামর্শ দেন। পরে রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে।
সাংবাদিক আহসান আলম বলেন, সকালে ওয়ার্ডবয় রাসেল আমাকে প্রথমে হুমকি দেয়। পরে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাঁশ দিয়ে জনসম্মক্ষে বেধড়ক মারধর করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন বলেন, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তিও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ফাতেহ আকরাম বলেন, আয়া বৃষ্টির জন্য ওই ওয়ার্ডবয় ও তার স্ত্রীর মনোমালিন্য হয়েছিল। এ কারণে আয়া বৃষ্টিকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। পরে তাদের মধ্যে সমঝোতা হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের ভেতরে ঘটনাটি হওয়ায় আসলেই দুঃখজনক। বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আলামিন ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি উভয়ে বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। অনতিলম্বে আসামিকে গ্রেফতার করে আইনের আওয়ায় আনার জোর দাবি করছি।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, এ ঘটনায় সকালে সংবাদিক আহসান আলম বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
কেআই//
আরও পড়ুন