ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

‘আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের চেতনা ধারণ করলে দেশ আলোকিত হবে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:২৩, ৪ জানুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১৯:২৮, ৪ জানুয়ারি ২০২২

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেছেন, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের চেতনা ধারণ করলে পটিয়াসহ সারা দেশ আলোকিত হবে। এরকম একজন অসাধারণ মানুষকে তাঁর দীপ্ত চেতনার যে আলোকিত উৎস গণমানুষের জীবনকে ধন্য করেছে তা সর্বত্র পৌঁছে দেওয়া প্রত্যেকের দায়িত্ব। 

এ দায়িত্ব নিয়ে সবাই যখন এগিয়ে যাবে তখন মনে হবে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ শুধু একজন ব্যক্তিমাত্র নন। তিনি ইতিহাস-ঐতিহ্যের মানুষ যাঁকে ধারণ করে জাতি তার সমগ্র চেতনাকে অগ্রগামী করে সুদূর পথে এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছে। 

গত ১ জানুয়ারি শনিবার বিকেল তিনটায় পটিয়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় মিলনায়তনে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ সার্ধশত জন্মবর্ষ উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত ‘আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ: জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রাচীন বাংলা পুঁথি সাহিত্যের অমর গবেষক আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ সার্ধশত জন্মবর্ষ উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের নাম উচ্চারিত হোক কারণ তিনি বলেছেন ঐতিহ্য সম্পর্কবিহীন সংস্কৃতিসাধনা অসম্ভব। আমরা শুধু একুশে ফেব্রুয়ারিতে যাঁরা শহীদ হয়েছেন তাঁদের নাম স্মরণ করবো, এবং তাঁদেরকে স্মরণ করে একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন করবো এটা আমাদের জীবনের একমাত্র ধারণ করার জায়গা নয়। আমরা কেনো আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদকে ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় সামনে নিয়ে এসে দাঁড় করাবো না। আমরা আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদকে মনে রাখবো বাংলা ভাষার একজন পথিক হিসেব যিনি আমাদের মাঝে পুঁথি সংগ্রহের মাধ্যমে শিল্প সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। এসব জায়গাগুলো পূর্ণ হবে আমাদের প্রজন্মের দ্বারা, যারা বাংলা ভাষাকে আরো সমৃদ্ধ করবে। 

এতে পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবু জাফর চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শিশুসাহিত্যিক কবি সুজন বড়ুয়া ও বাংলা একাডেমির পরিচালক, প্রাবন্ধিক-গবেষক ড. তপন বাগচী। 

স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পরিষদের কো-চেয়ারম্যান এডভোকেট কবিশেখর নাথ পিন্টু। আলোচনা করেন, চট্টগ্রাম সরকারি চারুকলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুল আলিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের ডীন প্রফেসর এবিএম আবু নোমান ও প্রাবন্ধিক-গবেষক অধ্যক্ষ শিমুল বড়ুয়া। সঞ্চালনা করেন, পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক অভিজিৎ বড়ুয়া মানু ও সমন্বয়ক শিবুকান্তি দাশ।

সেমিনারে প্রাচীন পুঁথি ও সাহিত্যবিশারদ সম্পর্কিত পুস্তক প্রদর্শনীর আয়োজন ও সার্ধশতবর্ষের বিশেষ স্মারক ‘স্মরণপত্র’ প্রকাশ করা হয়। প্রধান অতিথি সার্ধশত জন্মবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকতা করে পটিয়া ফাউন্ডেশন।
কেআই//
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি