সারাদেশে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি
প্রকাশিত : ০৮:৫০, ৫ জানুয়ারি ২০২২
গত কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্নস্থানে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোথাও কোথাও বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। হাঁড় কাঁপানো এই শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ।
বিশেষ করে দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, নীলফামারী এলাকায় শীতের তীব্রতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তীব্র এই শীতে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের অবস্থা বেশি নাজুক।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫-৭ কিলোমিটার। সকাল ৯টার পর এই বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ঘণ্টায় ১০-১৪ কিলোমিটার। এই হিমেল বাতাসে দিনাজপুরসহ এই অঞ্চলে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, কুড়িগ্রাম দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। মঙ্গলবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে কুয়াশাচ্ছন্নতার কারণে দুপুরের আগে সূর্যের দেখা মিলছে না। শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চার শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষজন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্ট চরমে পৌঁছেছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ইতোমধ্যেই ছিন্নমূল মানুষদের মধ্যে ৩৫ হাজার কম্বল দেওয়া হয়েছে।
তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, আগামী দুই/তিন সপ্তাহের মধ্যে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ও তাপমাত্রা ৮-৬ এর মধ্যে অবস্থান নিতে পারে।
কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)’র সৈয়দপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, এ এলাকার উপর দিয়ে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। ফলে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা উঠানামা করছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল হাসনাত সরকার জানান, সরকারিভাবে অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ চলমান রয়েছে।
এসএ/
আরও পড়ুন