ব্যবসায়ী খোকন হত্যা: ৬ জনের যাবজ্জীবন দণ্ড
প্রকাশিত : ১৫:৫০, ৯ জানুয়ারি ২০২২
দণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামি
মেহেরপুরের গাংনীর পৌর শহরের ইটভাটা ব্যবসায়ী রেজাউল হক খোকন হত্যা মামলায় ৬ জনকে বেকসুর খালাস ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাবাসের রায় দেওয়া হয়েছে।
রোববার দুপুরের দিকে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, গাংনী থানা পাড়ার আব্দুল মজিদের ছেলে রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের সেন্টার পাড়ার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মাহামুদ হাসান ওরফে রবিনহুড, গাংনীর মাইলমারি গ্রামের নয়ন উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জব্বার, হিজলবাড়িয়া গ্রামের বারিকের ছেলে বিল্লাল হোসেন, গাংনী পল্লী বিদ্যুৎ সাবস্টেশন পাড়ার আজগর কসাইয়ের ছেলে আব্দুল কাদের ও পূর্ব মালসাদহ গ্রামের অহিল উদ্দিনের ছেলে হোসেন আলী ওরফে পিচ্চি হোসেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১১ সালোর ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে গাংনীর ভিটাপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রেজাউল হক খোকন তার নতুন ইটভাটায় যান। পরে রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেন পরিবারের লোকজন।
পরে তৎকালীন কমিশনার আলী আজগরের ইটভাটা থেকে ৩শ’ গজ দূরে একটি মেহগনি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর পথচারীরা। খবর পেয়ে গাংনী থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং পরদিন তার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় রেজাউল হক খোকনের স্ত্রী হাসিনা বানু বাদী হয়ে ১২ জনের নামে গাংনী থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৪। জি আর নং-৫৯৭/১১।
১২ আসামির মধ্যে ৪ আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বাবুল মামলা প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় মোট ১৬ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর ৬ আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছে আদালত। তারা হলেন- আড়পাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আখতারুজ্জামান ওরফে বাবু, জালশুকা গ্রামের তাহার উদ্দিনের ছেলে জিয়ারুল, আড়পাড়া গ্রামের লাল চাঁদের ছেলে মজনু, মালসাদহ গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে আবুল কালাম, হাড়িয়াদহ গ্রামের নুর ফকিরের ছেলে খাজা এবং সানঘাট গ্রামের ওয়াদুদ আলীর ছেলে আবুল কালাম ওরফে শান্ত।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পিপি কাজি শহীদ। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, ইব্রাহিম শাহীন, শফিকুল আলম এবং অ্যাডভোকেট রমজান আলী।
এএইচ/
আরও পড়ুন