মাহেন্দ্র-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ মাদরাসা ছাত্র নিহত
প্রকাশিত : ০০:৩৭, ১০ জানুয়ারি ২০২২
বাগেরহাটের ফকিরহাটে মাহেন্দ্র-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চার শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এসময় মাহেন্দ্রে‘র চালকসহ আরও তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) রাত বারোটার পরে খুলনা-মোংলা মহাসড়কে ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী মুনষ্টার জুটমিলের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। পরবর্তীতে ঢাকায় নেওয়ার পথে রবিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে মাওয়া ফেরিঘাট এলাকায় এম্বুলেন্সের মধ্যেই সাকিব নামের আরও এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।
নিহত সাকিব হাকিমপুর কওমী মাদরাসার জামায়াত বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি ফকিরহাট উপজেলার পিলজংগ গ্রামে। নিহতরা হলেন- হাফেজ আব্দুল্লাহ, আব্দুল গফুর ও সালাহউদ্দীন। তারা সবাই বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর কওমী মাদরাসার ছাত্র ছিল। নিহতদের মধ্যে আব্দুল্লাহ সদর উপজেলার রনজিতপুর এলাকার হোসাইনের ছেলে। আব্দুল গফুরের বাড়ি রামপালের ঝনঝনিয়ায় এবং সালাহউদ্দীনের বাড়ি সাতক্ষীরায়। আব্দুল্লাহ দাওরায় হাদিস শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং অপর দুইজন অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
শিক্ষার্থীরা খুলনা আলিয়া কামিল মাদরাসায় আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে বাগেরহাটে নিজ মাদরাসার উদ্দেশে ফিরছিল। এদিকে রবিবার সকাল ১০টায় হাকিমপুর মাদরাসা প্রাঙ্গণে নিহত তিন শিক্ষার্থীর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজ শেষে নিহতদের লাশ তাদের নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়েছে। মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনায় চার শিক্ষার্থী নিহত হওয়ায় এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
হাকিমপুর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল মাবুদ বলেন, মাদ্রাসার ছাত্ররা শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা আলিয়া কামিল মাদ্রাসায় আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। রাতে খুলনা থেকে সিএনজিযোগে মাদ্রাসার উদ্দেশ্য রওনা দেন। এ সময় শ্যামবাগাত এলাকার মুনস্টার জুট মিলের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ডাম্পার ট্রাকের সঙ্গে মাহিন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে তিন জন মারা যান।
এ সময় আরও ৪ যাত্রী আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর মধ্যে সাকিবের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার করা হলে পথিমধ্যে সে মারা যায়।
জানাজায় অংশ নেওয়া বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বিরুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় আমরা সকালেই মাদরাসায় গিয়েছি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দাফন-কাফনে প্রাথমিক সহায়তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে যে কোনো প্রয়োজনে আমাদের জানাতে অনুরোধ কররেছি। এবং দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিতসা নিশ্চিত এবং পরিবারের যে কোনো প্রয়োজনে সহযোগীতারও আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা।
কেআই//
আরও পড়ুন