বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ কলেজছাত্রীকে, অভিযুক্ত আটক

লক্ষ্মীপুরে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলার পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। মোবাইল ফোনে ভিকটিমকে একই স্থানে নিয়ে গেলে পুলিশ অভিযুক্ত তারেক হোসেনকে হাতেনাতে আটক করে। 

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন লক্ষ্মীপুর মডেল থানার ওসি জসিম উদ্দীন। গ্রেফতারকৃত তারেক সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের (দারোগার বাড়ী) নুরুল আমিনের ছেলে। অপর অভিযুক্ত রাসেল মাহমুদ শেরপুর জেলার বাসিন্দা।

গ্রেফতারের পর অভিযুক্ত মো. তারেক হোসেন (২৬)কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এজাহার ও থানা সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দ্বিতীয় অভিযুক্ত রাসেল মাহমুদের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বিয়ের প্রলোভনে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। 

এরপর ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী তারেককে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বিয়ে করবে না বলে টালবাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে বিষয়টি ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী পরিবারকে জানায়। 

পরে গত রোববার (৯ জানুয়ারি) মোবাইল ফোনে ভিকটিমকে একই স্থানে নিয়ে গেলে পুলিশ অভিযুক্ত তারেক হোসেনকে হাতেনাতে আটক করে। পরে সোমবার (১০ জানুয়ারি) ওই ছাত্রীর মায়ের করা ধর্ষণচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। এই মামলায় ১ বছর যাবত ওই কলেজছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে।

ধর্ষণে সহযোগিতা করায় রাসেল মাহমুদ নামে তারেকের এক বন্ধুকেও আসামি করা হয়েছে। 

লক্ষ্মীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জসীম উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর মা বাদী হয়ে সোমবার ২ জনের নামে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত প্রধান আসামিকে আটকের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, জানান তিনি।

এএইচ/