বাগআঁচড়ার সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৩০ জনের নামে মামলা
প্রকাশিত : ০০:০৮, ১৩ জানুয়ারি ২০২২
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী বোমা হামলা ও গুলি করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুলসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫-৩০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা হয়েছে।
বুধবার বাগআঁচড়া গ্রামের মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাসের ছেলে মোহাম্মদ বিশ্বাস বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন শার্শার থানার ওসিকে।
আসামিরা হলেন, বাগআঁচড়ার সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল, একই এলাকার নাজমুল হাসান, ওয়াজেদ আলী, সাখাওয়াত হোসেন, আবু তালেব, মেহেদী হাসান, ইউনুছ আলী, আনার মিজি, সজীব, মাসুদ, উসমান আলী ফাটা, রানা, খায়রুল ইসলাম, সামছু, জাকির, বিপ্লব, সোহরাব, খায়রুল আলম, সুজন, আল আমিন খান, ইকবার, আলমগীর কবির, মানিক, সেলিম রেজা, মুকুল, আমতলা বাগআঁচড়া গ্রামের মনিরুজ্জামান, টেংরা গ্রামের রেজাউল ফকির, পিঁড়াগাছি গ্রামের রিয়াজ পারভেজ টিটু ও সোনাতনকাটি গ্রামের আক্তার মাস্টার।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসামি ইলিয়াস কবির বকুল বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান। অন্যান্য আসামিরা তার সহযোগী সন্ত্রাসী। মামলার বাদী মোহাম্মদ বিশ্বাস নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকের সমর্থক। গত ৯ জানুয়ারি নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক শপথ নেয়ার পর মোহাম্মদ বিশ্বাসসহ অন্যরা সন্ধ্যায় বাগআঁচড়া বাজারে আনন্দ উল্লাসসহ মিষ্টি বিতরণ করেন। ইলিয়াস কবির বকুলসহ তার সমর্থদের কাছে পৌঁছালে তারা হাইস্কুল মার্কেটের দ্বিতীয়তলার অফিসে সমবেত হয়। মিষ্টি বিতরণ শেষে সাড়ে সাতটার দিকে মোহাম্মদ বিশ্বাসসহ অন্যরা মার্কেটের সামনে দিয়ে আসার সময় ইলিয়াস কবির বকুলের অফিস থেকে পরপর চারটি বোমা নিক্ষেপ ও শর্টগান দিয়ে দু’রাউন্ড গুলি করা হয়।
বোমার আঘাতে মোহাম্মদ বিশ্বাস, টুটুল, কামরুজ্জামান, কামরুল মেম্বার, ইউনুছসহ বেশ কয়েকজন জখম হয়। এছাড়াও আসামিরা কয়েকজনকে পিটিয়ে জখম করে। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিক ও যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত টুটুলের একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। চিকিৎসা শেষে মোহাম্মদ বিশ্বাস শার্শা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ মামলা না নেয়ায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
কেআই//
আরও পড়ুন