চট্টগ্রামে ২৯৬ জন কোভিড আক্রান্ত
প্রকাশিত : ১৬:২৬, ১৪ জানুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১৬:২৮, ১৪ জানুয়ারি ২০২২
চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৯৬ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ১৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। এ সময় কভিড-১৯ এ কারো মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, শাহ আমানত বিমানবন্দর ও নগরীর এগারো ল্যাবে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ২ হাজার ৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ ২৯৬ জনের মধ্যে শহরের ২৬৩ ও উপজেলার ৩৩ জন। উপজেলার ৩৩ জনের মধ্যে হাটহাজারীতে ১১, রাউজানে ৮, আনোয়ার ও পটিয়ায় ৫ জন করে, রাঙ্গুনিয়ায় ৩ জন এবং মিরসরাইয়ে ১ জন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ৪ হাজার ১৮৮ জন। এর মধ্যে শহরের ৭৫ হাজার ৬১৪ ও গ্রামের ২৮ হাজার ৫৭৪ জন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কেউ মারা যায়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩৫ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭২৫ ও গ্রামের ৬১০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৩৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এখানে শহরের ২৬ ও গ্রামের ৪ জন জীবাণুবাহকের অস্তিত্ব মিলে। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৩২৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩১ ও গ্রামের একজনের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ১৪৩ নমুনার মধ্যে শহরের ৪৮ ও গ্রামের ৪ জন আক্রান্ত পাওয়া যায়। বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৪৩ নমুনার মধ্যে শহরের ২১ টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩০ জনের নমুনায় শহর ও গ্রামের ৬ জন করে করোনায় আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ল্যাব ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩৪ ও গ্রামের ৬ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৫১টি নমুনার মধ্যে শহরের ৭ ও গ্রামের ৬ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ১৩ জন, এপিক হেলথ কেয়ারে ১০৯ জনের নমুনায় শহরের ৪৫ জন, ল্যাব এইডে ৮ নমুনায় শহরের ৪, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৩৯ জনের নমুনায় শহরের ১৩ জন এবং এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৪৩ নমুনায় শহর ও গ্রামের ৬ জন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়। শাহ আমানত বিমানবন্দরে ১৮১ বিদেশগামীর ৯ জন পজিটিভ চিহ্নিত হলে তাদের যাত্রা বাতিল করা হয়।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। শহর ও গ্রামের কোনো কেন্দ্রে কারো এন্টিজেন টেস্ট করা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে শেভরনে ৮ দশমিক ৮৭, বিআইটিআইডি’তে ৯ দশমিক ৭৮, চমেকহা’য় ৩৬ দশমিক ৩৬, চবি’তে ৪০ শতাংশ, আরটিআরএল-এ ৪৮ দশমিক ৮৩, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৩ দশমিক ৪২, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৫ দশমিক ১৮, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১০ দশমিক ১৫, এপিক হেলথ কেয়ারে ৪১ দশমিক ২৮, ল্যাব এইডে ৫০ শতাংশ, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৩৩ দশমিক ৩৩, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৮ দশমিক ৩৯ এবং শাহ আমানত বিমানবন্দর ল্যাবে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
এসি
আরও পড়ুন