ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

টাকা লুট করতেই অধ্যাপককে হত্যা করে আনারুল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৪১, ১৪ জানুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ২১:৫৭, ১৪ জানুয়ারি ২০২২

Ekushey Television Ltd.

নিখোঁজের দুইদিন পর গাজীপুরের কাশিমপুরের পানিশাইল এলাকা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মোছা. সাইদা গাফফারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় আনারুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে অধ্যাপক সাইদার নির্মাণাধীন বাড়ির রাজমিস্ত্রির সহযোগী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন তিনি।

আনারুলের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ভাড়া বাসার অনতি দূরের একটি ঝোপ থেকে অধ্যাপক সাইদার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘাতক তার সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার, মোবাইল নিয়ে নেয়। এরপর চাবি নিয়ে বাসায় ঢুকে ল্যাপটপ, ট্যাব ও টাকা-পয়সা লুট করে।

অধ্যাপক সাইদার ছেলে সাইদ ইফতেখার বিন জহির জানান, তার মা কাশিমপুরের পানিশাইল এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। সেখানে থেকে পাশেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হাউজিং প্রকল্পে বাড়ির নির্মাণকাজ দেখাশোনা করতেন। বাড়ির কাজও প্রায় শেষের দিকে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে নতুন বাসায় ওঠার কথা ছিল।

জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৬ টায় কাশিমপুরের পানিশাইল এলাকায় সাবেক প্রফেসর সাইদার প্রজেক্টের কন্টাক্টর আনারুল তার ছেলের মোবাইলে ফোন করে জানান, বাসার দরজা খোলা এবং প্রফেসরকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। রাত সোয়া ৯টায় সাইদার ছেলে ও মেয়ে সেই বাসায় এসে তার মাকে কোথাও খুঁজে পাননি। পরে নিহতের মেয়ে সাদিয়া আফরিন কাশিমপুর থানায় এ সংক্রান্ত একটি জিডি করেন। 

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবে খোদা বলেন, অধ্যাপক সাইদা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে অবসর গ্রহণ করেন। প্রায় ১১ মাস ধরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পানিশাইল এলাকার মোশারফ হোসেন মৃধার বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ভাড়া বাসায় থেকে তিনি একই এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আবাসন প্রকল্পে বাড়ি নির্মাণ করছিলেন। বুধবার রাত সোয়া ৯টায় তার ছেলে ও মেয়ে বাসায় এসে কোথাও খুঁজে পাননি তাকে। পরে সাদিয়া আফরিন কাশিমপুর থানায় জিডি করেন।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের কাশিমপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শেখ মিজানুর রহমান জানান, নির্মাণাধীন বাড়ির প্লটে গিয়ে অধ্যাপক সাইদার খোঁজ-খবর নেওয়া হয়। তদন্তের নানা তথ্যের ভিত্তিতে ওই প্লটে কর্মরত রাজমিস্ত্রির সহযোগী আনারুলকে গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুর থেকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। 

জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যার কথা স্বীকার করে আনারুল। শুক্রবার তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নির্মাণাধীন ওই বাড়ির অদূরে একটি ঝোপের ভেতর থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সাইদ ইফতেখার বিন জহির অজ্ঞাত কয়েকজনসহ আনারুলকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।  

শেখ মিজানুর রহমান আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আনারুল জানিয়েছে, অধ্যাপক সাইদার হাতে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে আনারুল। এ সময় তাকে বাধা দেওয়ায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

এসি


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি