ফলাফলের অপেক্ষায় নারায়ণগঞ্জবাসী
প্রকাশিত : ১৭:৪৬, ১৬ জানুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১৮:১৫, ১৬ জানুয়ারি ২০২২
ইভিএম মেশিনের জটিলতায় ভোট গ্রহণে ধীরগতি, কিছু জায়গায় স্বতন্ত্রপ্রার্থীর লোকজনকে প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগসহ ছোটখাট অভিযোগের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।
এই নির্বাচনের প্রচারের সময় থেকে ভোট গ্রহণ পর্যন্ত বড় কোনও সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন কমিশনের আশা, নির্বাচন পরবর্তী কোনও সহিংসতার ঘটনাও ঘটবে না।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদের শেষের দিকে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় আয়োজনটি বিতর্কমুক্ত রাখতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থাও রয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা, নারায়ণগঞ্জের কান্ডারি হতে চলেছেন কে? কাকে বেছে নিলেন নারায়ণগঞ্জবাসী?
প্রথমবারের মত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সবগুলো কেন্দ্র ইভিএমএ ভোট হয়। যে কারণে ভোটার থেকে শুরু করে নির্বাচন কর্মকর্তা এবং প্রার্থী, সবার মাঝেই ছিল চাপা উত্তেজনা।
রোববার সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয় নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে। ওয়ার্ডের ১৯২ কেন্দ্রের এক হাজার ৩৩৩ কক্ষে ভোট গ্রহণের জন্য দুই হাজার ৯১২টি ইভিএম মেশিন আনা হয়। দিনের প্রথমভাগে কিছু কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকায় কিছু কেন্দ্রে বিকেল চারটার কিছু পর পর্যন্তও ভোট গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
এদিকে সকাল ১১টায় শিশুবাগ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভি। এ সময় ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু জানিয়ে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ জানান তিনি।
এ সময় ইভিএম মেশিনের ত্রুটির কারণে কিছু কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে ধীর গতির অভিযোগও করেন।
এর আগে সকাল সোয়া আটটায় নারায়ণগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসায় ভোট দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার। এসময় জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ জানানোর পাশাপাশি শেষ পর্যন্ত ভোটের লড়াইয়ে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এবারে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন সাত জন মেয়র প্রার্থী। এই সাত প্রার্থীর মধ্যে নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভীর সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূরের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২০১১ সালে এ সিটির নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৬৯ শতাংশ; তবে ২০১৬ সালে তা কমে ৬২ দশমিক ৩৩ শতাংশে দাঁড়ায়। করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে এবার ৫ লাখ ১৭ হাজারের ভোটারের মধ্যে কত শতাংশ ভোট দেন, তাই এখন দেখার বিষয়।
নারায়ণগঞ্জের সহকারী রিটার্নিং অফিসার আল আমিন বলেন, ‘ইভিএমে আগের মত ভোট গোনার ঝামেলা নেই। যন্ত্রই সব হিসাব করে দেবে। বাকি রয়েছে শুধু কেন্দ্রে ফল ঘোষণা এবং এজেন্টদের সই নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে পাঠানোর আনুষ্ঠানিকতা।’
এসবি/
আরও পড়ুন