বড়ভাই হারলেও জিতলেন ছোটভাই
প্রকাশিত : ১১:১৫, ১৭ জানুয়ারি ২০২২
ভোটের পর বড়ভাই তৈমূর আলম খন্দকার ও ছোটভাই মাকসুদুল আলম খন্দকার
নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর হ্যাটট্রিক জয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হল বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন। ১৯২টি কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে বেসরকারি ফল অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের (৯২,১৭১) থেকে প্রায় দ্বিগুণ ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছেন আইভী (১,৬১,২৭৩)।
অবশ্য এটা এখন পুরনো খবর! তবে নতুন খবর হচ্ছে- মেয়র পদে বড় ভাই তৈমূর আলম খন্দকার জিততে না পারলেও টানা দ্বিতীয়বারের মতো কাউন্সিলর পদে জয়ী হলেন ছোট ভাই মাকসুদুল আলম খন্দকার ওরফে করোনা যোদ্ধা খোরশেদ।
দেশে করোনাভাইরাসের মহামারির শুরুর দিকে মানুষের মাঝে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছিল। এমনকি নিজ নিজ বাবা-মা কিংবা অন্য আত্মীয়-স্বজনের করোনা শনাক্ত হলে তাঁর ধারে-কাছে যেতেও ভয় পেত মানুষ। শুধু তাই নয়, আপনজনের লাশ হাসপাতালে বা বাড়িতে রেখেও পালিয়ে যাওয়ার খবরও চাউর হয় গণমাধ্যমে।
সেই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে মৃতদেহ দাফন কিংবা সৎকারসহ করোনাগ্রস্ত মানুষের সেবা দিতে একটি টিম গঠন করেন নাসিক ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। দিন কিংবা রাত, ঝড় কিংবা বৃষ্টি- কোনও কিছুকেই পরোয়া না করে মানুষের ডাকে সাড়া দিয়েছেন খোরশেদ কাউন্সিলর ও তাঁর টিমের সদস্যরা।
এমনকি সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় এসে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন কাউন্সিলর খোরশেদ। তারপরও টিম খোরশেদের অভিযান থেমে থাকেনি। তাদের এই মহৎ ও দুঃসাহসী উদ্যোগ শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, গোটা দেশে প্রশংসিত হয়।
রীতিমত হিরো বনে যাওয়া খোরশেদ আলম জয়ী হন আবারও। রোববার (১৬ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত নাসিক নির্বাচনে আলোচিত সেই খোরশেদ পুনঃরায় কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন।
এদিন ১২ হাজার ৭৭০ ভোটের ব্যবধানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে তিনি ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭৯২ ভোট। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহ ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ রেডিও প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ২২ ভোট।
সেইসঙ্গে নাসিক ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন মেয়র পদে পরাজিত প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের ছোট ভাই মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।
এনএস//
আরও পড়ুন