ঢাকা, রবিবার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ওসি-এএসআইসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৮:৩২, ২৪ জানুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ০৮:৩৬, ২৪ জানুয়ারি ২০২২

বিরোধপূর্ণ জমি দখলে সহযোগিতা এবং ঘুষ দাবির অভিযোগে নোয়াখালীর চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের এবং দুই এএসআইসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। 

রোববার নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৭ নম্বর আমলি আদালতে মামলার আবেদনটি করেন আবদুল ওয়াহেদ নামের এক ব্যক্তি। তিনি চাটখিল উপজেলার উত্তর বদলকোট গ্রামের বাসিন্দা। 

আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোহাম্মদ সাফায়েত বাদীর আবেদনটি (পিটিশন নম্বর-১৪/২০২২) আমলে নিয়ে তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে নির্দেশ দিয়েছেন।

আগামি ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

মামলার আবেদনে বাদী আবদুল ওয়াহেদ অভিযোগ করেন, চাটখিল উপজেলার বদলকোট মৌজার বিএস ১২৪৬ খতিয়ানের ১০২৮ দাগে বাদীর দখলীয় জায়গা গত ১৩ জানুয়ারি সকাল আটটার দিকে প্রতিপক্ষ শহিদুল্লাহ ও পারভেজ স্ব-দলবলে দখল করতে আসেন। বাধা দিলে প্রতিপক্ষ হুমকি দিয়ে বলে ‘থানা-পুলিশ কন্ট্রাক্ট করে এসেছি কোন প্রকার বাধা দিলে এখানে লাশ পড়বে।’ 

অভিযোগে আরও বলা হয়, এমন পরিস্থিতিতে তিনি জাতীয় হেলফ লাইন ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। যার ভিত্তিতে চাটখিল থানার এসআই ওয়াহেদ ঘটনাস্থলে গেলে দখলকারীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে একই থানার দুই এএসআই জাকির হোসেন ও মো. সুমন ঘটনাস্থলে গিয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করায় নানা হুমকি-ধমকি দেন। ওই সময় তারা জানান, ‘ওসি সাহেবের আদেশে এখানে কাজ চলছে, আপনি কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসেন।’

‘এই দুই এএসআইয়ের কথা অনুযায়ি কাগজপত্র নিয়ে থানায় গেলে তাদের রাত ১০টা পর্যন্ত থানায় বসিয়ে রাখা হয়। আর প্রতিপক্ষকে জায়গা দখলের সুযোগ করে দেওয়া হয়। প্রতিপক্ষ জেনারেটরের আলোয় জায়গা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে। রাতে বাড়িতে এসে দখলের ঘটনা দেখার পর পরদিন পুনরায় থানায় গেলে ওই এএসআই ৫০ হাজার টাকা দাবি করে’ বলা হয় অভিযোগে। 

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের পেশকার মতিউর রহমান জানান, উত্তর বদলকোট গ্রামের বাসিন্দা আবদুল ওয়াহেদের মামলার আবেদনটি পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামি ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, ‘জায়গা-জমি নিয়ে আব্দুল ওয়াহেদ ও তার ভাইয়ের বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধের জের ধরে ৯৯৯ নম্বরে এক পক্ষ ফোন করেছে, পরে  বিষয়টি নিয়ে তাদের আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর বেশি আর কোন কথা হয়নি।’

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি