মহেশখালীর মেয়র মকছুদ কারাগারে
প্রকাশিত : ০৮:৩৯, ২৭ জানুয়ারি ২০২২
বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনকে হত্যা চেষ্টার মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে কক্সবাজারের মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার কক্সবাজারের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মোহাম্মদ ফারুকী এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা।
আদালতের আদেশের পর দুপুর আড়াইটার দিকে মকছুদ মিয়াকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশ পাহারায় একটি ব্যক্তিগত গাড়িযোগে নিয়ে যাওয়া হয় কক্সবাজার কারাগারে। এসময় কয়েকজন সংবাদকর্মী ছবি তুলতে চাইলে তাদের বাধা দেয় মেয়র মকছুদ মিয়ার অনুগত লোকজন।
অভিযুক্ত মকছুদ মিয়া মহেশখালী পৌরসভার মেয়র ছাড়াও পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক।
মামলার বাদী আমজাদ হোসেন মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহেশখালী উপজেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা জানান, হত্যাচেষ্টা ও চিংড়ি ঘেরে ডাকাতির অভিযোগে মেয়র মকছুদ মিয়াকে প্রধান আসামি করে দুটি মামলা করেন মহেশখালীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন।
ওই দুটি মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে ৬ সপ্তাহ পর কক্সবাজার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন তিনি। এর মধ্যে চিংড়ি ঘের ডাকাতির মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। তবে, হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বাদী পক্ষের অভিযোগ, গত ২৪ নভেম্বর রাতে মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা বাজার থেকে মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন বাড়ি ফেরার পথে লিডার শিপ স্কুল এন্ড কলেজের সামনে পৌঁছলে পৌর মেয়র মকছুদ মিয়ার নেতৃত্বে একদল লোক তার উপর হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত ২৬ নভেম্বর আহত আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মেয়র মকছুদ মিয়াকে প্রধান আসামি করে ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
এ ঘটনার পর গত ৮ ডিসেম্বর মেয়র মকছুদ মিয়াকে গ্রেফতার ও ন্যায়বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করে কক্সবাজারের মুক্তিযোদ্ধারা। এর আগে মামলা করায় মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনকে এলাকা ছাড়া করার হুমকির অভিযোগ উঠেছিল মেয়রের বিরুদ্ধে।
এএইচ/
আরও পড়ুন