ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

স্কুলের টাকা লোপাট: তদন্ত নিয়ে শিক্ষকের তালবাহানা

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৪:৫৮, ২৭ জানুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১৪:৫৯, ২৭ জানুয়ারি ২০২২

ঝালকাঠি সরকারী হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফরিদ হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে স্কুলের তহবিলের ৮২ হাজার টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দিলে ৭ মাসেও রিপোর্ট প্রদান করেননি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিক। 

বরিশাল আঞ্চলিক উপ-পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের তথ্য মতে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন প্রতিবেদন জমা পড়েনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু সাইদ মোঃ ফরিদ কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরবর্তীতে সহকারী প্রধান শিক্ষিক হোসনে আরা আরজুকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিক পদে নিয়োগ দিলে তিনি বিগত বছরের ৫ এপ্রিল দায়িত্ব গ্রহণ করেন। 

তবে দায়িত্ব হস্তান্তর সত্বেও শিক্ষক ফরিদ সোনালী ব্যাংক স্থানীয় শাখায় স্কুলের চলতি হিসাব নং-১০০২৬০৫৫২ থেকে ১২ এপ্রিল ২৫ হাজার, ৭ এপ্রিল হিসাব নং-১০০২৮৬৫২৮ থেকে ১২ হাজার, ১১ এপ্রিল সেভিংস হিসাব নং-১০০২৬০৬২২ থেকে ২০ হাজার ও একই তারিখ সেভিংস হিসাব নং-১০০২২৮৬৮১ থেকে আরও ২৫ হাজার টাকাসহ মোট ৮২ হাজার টাকা উত্তোলন করেন।

এঘটনা বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও অভিভাবক মহলে জানাজানি হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
    
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের একটি সূত্রে জানায়, অবৈধ এ অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ পেয়ে বরিশাল আঞ্চলিক উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আনোয়ার হোসেন গত ১৪ জুন তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন প্রদানের জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেন। 

তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আরজু গত ১৬ আগস্ট ফরিদ হোসেনের লিখিত জবানবন্দি গ্রহণ করে আঞ্চলিক উপ-পরিচালকের কাছে পাঠান। উক্ত জবানবন্দিতে ফরিদ হোসেন উল্লেখ করেন, ‘উত্থাপিত অভিযোগ বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তিনি ১৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখ হোসনে আরা আরজুকে 
আর্থিক হিসাবসহ দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন।’

অথচ দায়িত্বভার অর্পণ পত্রে দেখা যায়, গত ৫ এপ্রিল ২০২১ তারিখে স্মারক নং-২২৭৪ পত্রে সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আবু সাইদ মোঃ ফরিদ দায়িত্ব অর্পণ ও প্রধান শিক্ষিক (ভারপ্রাপ্ত) পদে হোসনে আরা আরজু দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

এ অবস্থায় আঞ্চলিক উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আনোয়ার হোসেন বিগত ৪ নভেম্বর ও ১৩ ডিসেম্বর পৃথক দুটি স্মারক পত্রে তদন্ত কর্মকর্তার সুস্পষ্ট মতামত নেই মর্মে উল্লেখ করেন। দায়িত্ব হস্তান্তরের পর শিক্ষক ফরিদ চেকের মাধ্যমে কোন অর্থ উত্তোলন করেছেন কিনা সে বিষয়ে সুস্পষ্ট মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা হোসনে আরা আরজুকে একাধিক বার বিদ্যালয়ে গিয়েও পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তার সেল ফোনে কয়েকবার কল ও ক্ষুদে বার্তা প্রেরণ করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি