ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে সেন্টমার্টিন (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৩৫, ২৮ জানুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১৮:৪৫, ২৮ জানুয়ারি ২০২২

প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন দিন দিন ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে। যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে অপচনশীল বর্জ্য। হুমকির মুখে অমূল্য প্রাকৃতিক সম্পদ সেন্টমার্টিন। দ্বীপটির পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় এখনই কঠোর পদক্ষেপ চান পরিবেশকর্মী ও বিজ্ঞানীরা। 

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। স্বচ্ছ নীল জলরাশি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে প্রতিবছর এখানে আসেন দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটক।

কিন্তু সচেতনতার অভাবে দিন দিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দ্বীপটির পরিবেশ ও জীববৈচিত্র। যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে পানির বোতল, চিপসের প্যাকেট, ক্যান, পলিথিনসহ বিভিন্ন অপচনশীল বর্জ্য। যেখানে-সেখানে গড়ে তোলা হচ্ছে হোটেল-রেস্টুরেন্ট। 

পর্যটকরা বলছেন, ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোনও জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে যত্র-তত্র ময়লা ফেলতে হচ্ছে তাদের। 

ময়লা আবর্জনার কারণে দ্বীপের আসল সৌন্দর্য্য ম্লান হচ্ছে বলেও মনে করছেন পর্যটকরা। 

দ্বীপটির পরিবেশ ও সৌন্দর্য্য রক্ষায় বিধি-নিষেধ আরোপসহ নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তর। কাজ করছে বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থাও। তবে পর্যটকরা সহযোগিতা না করলে সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ রক্ষা করা কঠিন হবে বলছেন পরিবেশ কর্মীরা।  

সেন্টমার্টিন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মী আব্দুল হামিদ বলেন, বিভিন্ন সময় মাইকিং করে সচেতন করেন তারা, তবে তাতেও কাজ হয়না। 

এদিকে পর্যটকরা বলছেন সচেতনতামূলক ব্যানার থাকলে সমস্যা কিছুটা সমাধান হত, এবং নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলত। 

দ্বীপ রক্ষায় একের পর এক প্রকল্প গ্রহণ করছে সরকার। কিন্তু পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হচ্ছে না।  
কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু বলেন, “কয়েকদিন আগেও এখানে সরকারি একটি প্রকল্প উদ্বোধন হয়েছে। তবে দু:খজনক হলেও সত্য যে, এসব প্রকল্প আগেও ছিল এখনও আছে কিন্তু কোনওভাবেই এই প্রকল্প কাজ করছে না।“  

সমুদ্র বিজ্ঞানীরা বলছেন, পর্যটন এলাকাগুলোতে পলিথিন, চিপস-সহ প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জোর দিতে হবে। প্রয়োজনে অপচনশীল দ্রব্যের ব্যবহার বন্ধের সুপারিশ তাদের। 

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার জানান, “পর্যটন এলাকাগুলোতে যাতে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার করা না হয়।“  

সেন্ট মার্টিনের চারপাশে সাগরের তলদেশেও জমেছে অপচনশীল বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য। এখনি কঠোর পদক্ষেপ না নিলে দ্বীপটির জীববৈচিত্র আরো ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি