মৃত্যু শূন্য চট্টগ্রামে কোভিড সংক্রমণ কমেছে
প্রকাশিত : ১৪:৩০, ২৯ জানুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১৪:৪১, ২৯ জানুয়ারি ২০২২
চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ও হার কিছুটা কমেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৮০৯ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণের হার ২৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এক টানা চার দিন পর এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরীর ১০ ল্যাবে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের ২ হাজার ৯১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮০৯ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের ৫৬১ও ১৪ উপজেলার ২৪৮ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ১৮ হাজার ১২ জন। এর মধ্যে শহরের ৮৬ হাজার ৮৫ ও গ্রামের ৩১ হাজার ৯২৭ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ৪৭, ফটিকছড়িতে ৪২, রাঙ্গুনিয়ায় ২৯, রাউজানে ২২, চন্দনাইশে ১৬, বাঁশখালীতে ১৪, পটিয়া ও সাতকানিয়ায় ১৩ জন করে, বোয়ালখালী ও আনোয়ারায় ১২ জন করে, লোহাগাড়া, মিরসরাই ও সন্দ্বীপে ৮ জন করে এবং সীতাকুণ্ডে ৪ জন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৫৪ জন রয়েছে। এতে শহরের ৭৩০ ও গ্রামের ৬২৪ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে শুক্রবার সবচেয়ে বেশি ৫৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ১৬২ ও গ্রামের ২৫ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৩৩২ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৮৫ ও গ্রামের ১৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২৩টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২৫ ও গ্রামের ৮টিতে করোনাভাইরাস চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৮০ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৫৭ ও গ্রামের ২৩ জনের দেহে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৪৯৮টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৬৬ ও গ্রামের ৫৯টিতে করোনার জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলেছে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩১১টি নমুনায় শহরের ১৬ ও গ্রামের ৬০টিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৩১৯টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ১৪ ও গ্রামের ২১টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। এপিক হেলথ কেয়ারে ২৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৯৮ ও গ্রামের ৪ জনের দেহে সংক্রমণ চিহ্নিত হয়। ল্যাব এইডে মাত্র ২ জনের নমুনায় একজন আক্রান্ত শনাক্ত হন। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ২৮ জনের শরীরে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ১৯৯টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৯ ও গ্রামের ২৮টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে চট্টগ্রামের ২৪ জনের নমুনা পাঠানো হয়। পরীক্ষায় গ্রামের ৭ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে।
এদিন, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, বেসরকারি ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও শাহ আমানত বিমানবন্দর ল্যাবে এবং শহর ও গ্রামের কোনো কেন্দ্রেই কারো এন্টিজেন টেস্ট করা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, বিআইটিআইডি’তে ৩৩ দশমিক ২১, চমেকহা’য় ২৯ দশমিক ৫২, চবি’তে ২৬ দশমিক ৮৩, সিভাসু’তে ৪৪ দশমিক ৪৪, শেভরনে ২৫ দশমিক ১০, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৪ দশমিক ৪৩, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১০ দশমিক ৯৭, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৭ দশমিক ৩৬, ল্যাব এইডে ৫০, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৩১ দশমিক ৪৬, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৮ দশমিক ৫৯ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ২৯ দশমিক ১৬ শতাংশ।
সূত্র: বাসস
এসএ/
আরও পড়ুন