ঢাকা, রবিবার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রামসাগর নিয়ে আজও যে জনশ্রুতি (ভিডিও)

দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৩১, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১২:৩২, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২

রামসাগর। রাজা রামনাথের কীর্তি এই ঐতিহাসিক দীঘিটি। সাগরসম বিশাল জলরাশির চারপাশে কয়েক হাজার প্রজাতির বৃক্ষরাজি প্রকৃতিকে করেছে অপরূপ।

১৭৫০ খ্রীষ্টাব্দে দিনাজপুরে ঐতিহাসিক এই দীঘিটির খনন কাজ শুরু করেন রাজা রামনাথ। আর শেষ করেন ১৭৫৫ খ্রীষ্টাব্দে।

ঐতিহাসিক দীঘিটি নিয়ে জনশ্রুতি রয়েছে, “বৃষ্টির অভাবে দীর্ঘ সময় ধরে খরায় এ অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। খাবার ও জলের অভাবে অনেক মানুষ ও জীবজন্তু মারা যায়। তখন স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী যুবরাজ রাম দীঘিতে প্রাণ বিসর্জন দিলে দীঘি জলে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। আর তারপর থেকেই যুবরাজের স্মৃতিতে দীঘির নাম হয় রামসাগর।” 

পুরাকীর্তির অনন্য নিদর্শন রামসাগরের জলভাগ ৭৭ দশমিক ৯০ একর। দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ৩৯৯ ফুট এবং প্রস্থ ৯৯৮ ফুট। এর চারপাশে ৬৮ দশমিক ৫৪ একর ভূমি জুড়ে রয়েছে পার্ক।

ঘুরতে আসা এক পর্যটক জানান, ‘পুকুর দেখতে ভালো লাগছে কিন্তু এই যে পাবলিক প্লেসগুলোতে মানুষ বসবে, সে রকম অবস্থা নেই। নোংরা-অপরিষ্কার।’

আরেক পর্যটক বলেন, ‘ইতিহাসে এই রামসাগর সম্পর্কে আমরা জানি। আসলে সেটার যে নুন্যতম ছোঁয়া এই দীঘিটি ছাড়া আর কিছুই পাই না’।

স্থানীয়রা বলছেন রামসাগরটি সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।

এলাকাবাসী জানান, ‘প্রাচীর ভেঙ্গে পড়ছে, দেখার কেউ নেই। আমরা যদি টেবিল-চেয়ার না দিতাম, তাহলে লোকজন দাঁড়িয়ে থেকে কিছুক্ষণ পরে চলে যেত।’

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বলছেন, উন্নয়নে প্রকল্প প্রস্তাব বন অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। 

২০০১ সালে সরকার এই রামসাগরকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা দেয়। 

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি