ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

কালের সাক্ষী তাজহাট জমিদার বাড়ি (ভিডিও)

রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:১০, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২

Ekushey Television Ltd.

কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে রংপুরের তাজহাট জমিদার বাড়ি। দৃষ্টিনন্দন বাড়িটি দেখতে প্রতিদিন ভীড় করেন হাজার হাজার দেশী-বিদেশী পর্যটক।

রংপুর নগরী থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে মাহিগঞ্জ তাজহাট এলাকায় দৃষ্টিনন্দন তাজহাট জমিদার বাড়ি। বর্তমানে এটি রংপুর যাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। 

ভারতের পাঞ্জাব এলাকার বাসিন্দা মান্না লাল রায় অষ্টাদশ শতাব্দিতে রংপুরের মাহিগঞ্জে এসে স্বর্ণের ব্যবসা শুরু করেন। হীরা-জহরত খচিত তাজ বা টুপির ব্যবসা করে জনপ্রিয়তা পান তিনি। এরপর মান্না লাল তাজহাট পরগণা কিনে জমিদারী শুরু করেন।

১৮৩০ সালে মৃত্যুর পর জমিদারির দায়িত্ব পান নাতি ধনপত রায়। পরে মামা গিরিধারী লাল ও দত্তক পুত্র গোবিন্দ লাল জমিদারির দায়িত্ব নেন। তিনি ১৮৮৮ সালে রাজা এবং ১৮৯২ সালে মহারাজা উপাধি লাভ করেন। তার আমলেই নির্মাণ করা হয় জমিদার বাড়ি। 

ইতিহাসবিদ অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, ‘মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে সিংদের সঙ্গে মোঘলদের সংঘর্ষ হয়। সেই সময় মালামাল নিয়ে মাহিপুরে চলে আসেন মান্না লাল।’ 

বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ওঠার জন্য সিঁড়ি এবং বারান্দা মসৃন সাদা ও ছাই রংয়ের মার্বেল পাথরে তৈরি। 

প্রথম তলার ছাদ নির্মাণে বড় বড় লোহার বীম ও লোহার ফালি ব্যবহার করা হয়েছে। বাড়িটিতে ২৬টি কক্ষ রয়েছে। প্রতিদিন হাজারও পর্যটক ভিড় করেন সেখানে। 

ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের বাবা মাহবুব হাবিব বলেন, ‘এটা দেখার জন্য সময় দরকার, তাই সময় নিয়েই এখানে এসেছি।’

এক পর্যটক জানান, ‘পুরনো জিনিস দেখতে পেলাম, প্রত্নতাত্ত্বিক একটা যাদুঘর। আমার কাছে ভাল লেগেছে।’

আমেরিকা থেকে আসা এক প্রবাসী পর্যটক বলেন, ‘তাজহাট শুধু নামেই শুনেছি, এবার দেখলাম। আমার খুবই ভাল লাগলো।’

জমিদার বাড়ি ও যাদুঘরের দেখভাল করার জন্য রয়েছেন ৪০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। 

তাজহাট জমিদার বাড়ি ও যাদুঘরের কাস্টডিয়ান হাবিবর রহমান বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। আমাদের এখানে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই হাজার দর্শনার্থী তাজহাট জমিদার বাড়ি পরিদর্শনে আসেন।’
 
নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি জমিদার বাড়ির সঠিক পরিচর্যা দাবি দর্শনার্থীদের। 

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি