ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

মৌলভীবাজারের কুরমা সীমান্তে বর্ডার হাট এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ২১:২২, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২

Ekushey Television Ltd.

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের কুরমা সীমান্তে সীমান্ত (বর্ডার) হাট এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমাঘাট এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ধলই জেলার কমলপুর মোড়াই ছড়ায় এ সীমান্ত হাটের কাজের ভিত্তিপ্রস্তর এর যৌথ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের বানিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি এমপি ও ভারতের ত্রিপুরা সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশর মৌলভীবাজার-৪ আসনের এমপি উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব।

উদ্বোধন শেষে বাংলাদেশের বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি বলেন, বর্ডার হাটের মাধ্যমে ব্যবসায়ীক লাভের চেয়ে দুই দেশের মানুষের হৃদয় খুলে যাওয়ার বিষয়টিই মুখ্য। এখানে দুই দেশের রিমোট এলাকার মানুষ এসে বাজার হাট করার পাশাপাশি একে অপরের মধ্যে ভাবের আদান প্রদান হবে। 

তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের যেন সুবিধা হয় এই চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছায় ইতিমধ্যে দেশে অনেক গুলো বর্ডার হাট চালু হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় আজ কুরমা সীমান্তের এই হাটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। আরো বেশ কয়েকটি বর্ডার হাট স্থাপন প্রক্রিয়াধিন আছে।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, এই বর্ডার হাট দু-দেশের বাণিজ্যের উন্নতি হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সীমান্তবর্তী মানুষ হাতের নাগালে পাবে। কমে আসবে সীমান্তে চোরাচালান। সর্বোপরি দুই দেশের মানুষের মধ্যে ভাতৃত্ববোধের সেতুবন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে। তিনি বলেন, বানিজ্যিক সম্পর্কের কাছাকাছি সাংস্কৃতিক সম্পর্কও আরো জোরালো হবে। 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন  বাংলাদেশস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মো: জাকারিয়া, কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান ও কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক প্রমূখ।

সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা চাম্পারায় চা বাগানের শ্রমিক অনিতা তাঁতী জানান, এই হাট চালু হলে তারা অনেক উপকৃত হতে পারবেন। এখন আর তাদের মৌলভীবাজার সদর, কমলগঞ্জ এবং শ্রীমঙ্গলে যেতে হবেনা। 

অপর চা শ্রমিক সুনীল পাশি জানান, বাগানের এবং সীমান্ত এলাকার শ্রমিকরা বিভিন্ন সবজী চাষ করেন যা দুরের বাজারে নিয়ে যেতে পারেন না। এটি চালু হলে তাদের উৎপাদিত ছোট ছোট পণ্য এখানে বিক্রি করতে পারবেন।

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন জানায়, ভারতের যৌথ উদ্যোগে দুই দেশের নোম্যান্স ল্যান্ডে ২ একর ভুমিতে ৫ কোটি ৩০ লক্ষ রুপি (টাকা) ব্যয়ে এটি নির্মিত হচ্ছে।

এসি
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি