পঞ্চগড়ে সৌরভ ছড়াচ্ছে বিদেশি ফুল ‘টিউলিপ’ (ভিডি)
প্রকাশিত : ১৪:৫০, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২
পঞ্চগড়ে তেঁতুলিয়ার সমতল ভূমিতে সৌরভ ছড়াচ্ছে বিদেশি ফুল ‘টিউলিপ’। আবহাওয়া কিছুটা অনুকূলে থাকায় এখানে টিউলিপ চাষে সফলতা পেয়েছেন কয়েকজন খামারী। বাহারী এ ফুল দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন আসছেন হাজারো মানুষ।
টিউলিপ নেদারল্যান্ডের জাতীয় ফুল। বিশ্বজুড়েই রয়েছে যার ব্যাপক চাহিদা ও কদর। টিউলিপ চাষে গড় তাপমাত্রা থাকতে হয় ৫৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের নিচে। তাই সাধারণত গ্রীষ্মপ্রধান দেশে এ ফুলের চাষ হয় না।
তবে অনেকটা গ্রীষ্মপ্রধান হলেও বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় টিউলিপ চাষে সফল হয়েছেন কয়েকজন খামারী। শীত মৌসুমে উত্তরাঞ্চলের তাপমাত্রা টিউলিপ চাষের উপযোগী হয়ে ওঠায় মিলেছে এই সাফল্য।
টিউলিপের দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্যে অভিভূত চাষীরা। লাল, সাদা, হলুদ, কমলাসহ বিভিন্ন রংয়ের টিউলিপের শোভা ক্ষেতজুড়ে। তেঁতুলিয়ার সদর ইউনিয়নের শারিয়ালজোত ও দর্জিপাড়ায় সেজেছে রঙ্গীন সাজে। পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন ও অপর একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সহায়তা করছে কৃষকদের।
প্রান্তিক পর্যায়ের ৮ জন উদ্যোক্তা ৪০ শতাংশ জমিতে ৬ প্রজাতির টিউলিপ চাষ করছেন। বীজ বপনের ২৫ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে ফুটেছে ফুল।
এদিকে, টিউলিপ ফুল দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন বহু দর্শনার্থী। স্থানীয় কৃষকরাও চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
চাষীরা জানান, ‘ফুল ফোটা শুরু করেছে, বাইর থেকে বিভিন্ন লোকজন আসছেন দেখার জন্য। আশা করি, টিউলিপের ন্যায্য দামটাও আমরা পাব।’
পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোঃ শাহ আলম মিয়া বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের কিছু কৃষক বিশেষ করে ৮ জন মহিলা কৃষক এখানে বিদেশি ফুলের চাষাবাদ করেছেন। কৃষি বিভাগ থেকে এর কারিগরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’
বৈশ্বিক টিউলিপের বাজার প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের। উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি এ ফুলের বাজার সৃষ্টি করাই বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এএইচ/
আরও পড়ুন