যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী দেয়ায় বীরাঙ্গনার জমি দখল
প্রকাশিত : ১৪:৪৭, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী দেয়ার অপরাধে পটুয়াখালীতে জামিনা বেগম (৭০) নামে এক মুক্তিযোদ্ধা বীরাঙ্গনার জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জীবন বাঁচাতে বর্তমানে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বীরাঙ্গনা জামিনা বেগম। সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তিনি জানান, ১৯৭১ সালের মে মাসে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রাজাকার ও আল-বদরের সহয়তায় দূর্গাপুর গ্রাম থেকে ২১ জন নারীকে পটুয়াখালী সার্কিট হাউসে দিনের পর দিন পাশবিক নির্যাতন করা হয়। ওই সময়ে হত্যা করা গ্রামের কয়েকশ’ মানুষকে।
২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে তিনি এ ঘটনার স্বাক্ষী দেন। ওই মামলার রায়ে একজন যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি এবং অন্যান্য অপরাধে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়।
জামিনা বেগম বলেন, মামলার রায়ের পর থেকে যুদ্ধাপরাধী গণি হাওলাদারের ভাগ্নে লতিফ তালুকদার তার দুই ছেলে সোহাগ ও আতিক তাকে এলাকা ছাড়া করতে হুমকী দিয়ে আসছেন। সম্প্রতি এরা তার স্বামীর পৈতৃক প্রায় এক একর সম্পত্তি দখল করে নেয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় শালিসে জমি ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলে রোয়েদাদনামা করা হলেও জমি ফেরত না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকে। সেই সাথে তাকে এবং তার ছেলেকে অব্যাহতভাবে এলাকা ছাড়ার হুমকী দেয়ায় তিনি জীবন বাঁচাতে বর্তমানে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন, জানান জামিনা বেগম।
তিনি জানান, ১৯৭১ সালে নিজের সম্ভ্রম দিয়ে লাল সবুজের পতাকা এনে দিয়েছেন। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পর জীবন বাঁচাতে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত লতিফ তালুকদারের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জামান, হুমকীর বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহন খান, বাদল ব্যানার্জী, নির্মল কুমার রক্ষিত এবং বীরাঙ্গনা জামিনা বেগমের ছেলে সুজল তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
এএইচ/
আরও পড়ুন