হঠাৎ বৃষ্টিতে হিলির আলু-সরিষা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি
প্রকাশিত : ১৫:৫৭, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
দিনাজপুরের হিলিতে মাঘ মাসে হঠাৎ বৃষ্টিতে ২৫০ হেক্টর আলুর ক্ষেতে পানি জমে গেছে। এতে করে আলুর গাছ মরে ও আলুতে পচন ধরার আশংকা তৈরি হয়েছে। সেই সাথে সরিষার ক্ষেতেও পানি জমেছে, ভেঙ্গে গেছে অনেক সরিষা গাছের ডাল। এতে করে আলু ও সরিষার উৎপাদন খরচ উঠানো নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে কৃষকদের মাঝে।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে হিলিতে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে তা শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এরপর বিকালে থামলেও রাত সাড়ে ৮টা থেকে ফের শুরু হয়ে সারারাতই থেমে থেমে চলে বৃষ্টিপাত। শনিবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন।
হিলির ইসমাইলপুরের কৃষক ইনছান আলী বলেন, একবিঘা জমিতে আলু আবাদ করতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মতো আমাদের খরচ হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে দু’দিনের বৃষ্টিপাতে আমাদের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা বলে বোঝানো যাবেনা। খরচ তুলতে পারবোনা কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
একইগ্রামের কৃষক মোস্তাক আলী বলেন, এখন তো আমাদের আলু তোলার মৌসুম আর কয়েকদিনের মধ্যেই এসব আলু তোলা শুরু হয়ে যেতো। কিন্তু হঠাৎ করে এই বৃষ্টিতে আমাদের আলুর ক্ষেতে পানি থৈ থৈ করছে। এতে কৃষকদের স্বপ্ন ধুলিষ্যাৎ হয়ে গেলো। লাভের আশায় যে টাকা খরচ করে আলু আবাদ করেছি কিন্তু এর একটাকাও আমরা পাবো বলে মনে হয় না।
একই গ্রামের সরিষা চাষী বাবুল হোসেন বলেন, আমি এ বছর সরিষা চাষাবাদ করেছি কিন্তু এগুলো পাকতে আরো কিছুদিন সময় লাগতো। কিন্তু দু’দিনের বৃষ্টিপাতে আমার সরিষার ক্ষেতে পানি জমে গেছে, গাছগুলো সব হেলে পড়েছে। এই সরিষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি, কিভাবে আমাদের খরচ উঠবে।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, মাঘ মাসের হঠাৎ বৃষ্টিতে উপজেলায় ২৫০ হেক্টর জমির আলুর ক্ষেতে পানি জমেছে। এছাড়া কিছু সরিষা ও গমের জমিতেও পানি জমে আছে। আমরা তাদের পরামর্শ দিচ্ছি ক্ষেতগুলো থেকে দ্রুত পানি বের করে দিতে।
যদি এসব জমি থেকে দ্রুত পানি বের করা যায় ও আবহাওয়া ভালো হয় তাহলে সমস্যা হবেনা। তবে আলুর ক্ষেত্রে লেটব্রাইট রোগ দেখা দিতে পারে, জানান তিনি।
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আজ দিনাজপুর অঞ্চলে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টির পরিমাণ দিনাজপুরে রেকর্ড করা হয়েছে ৫৯ মিলিমিটার। আজ বিকেল থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।
এএইচ/
আরও পড়ুন